জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এখনো সক্রিয় মিনি-টমটম,অটোরিকশা ছিনতাই সিন্ডিকেট।১২দিনে ৩টি ছিনতায়ের হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।তবুও দেখার কেউ নেই।
গত ৭,১২ ও ১৯অক্টোবর দুুপুর ২দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মহাসড়ক সংলগ্ন এটিএন পার্কের সামনে ২টি ও মালুমঘাট হাসপাতালের সামনে ১টি অর্থ্যাৎ ১২দিনে ছিনতায়ের ৩টি ঘটনা ঘটেছে।
ছিনতায়ের শিকার মিনি-টমটম চালক-উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের (মালুমঘাটস্হ) ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটার হাসিনাপাড়ার রফিক উদ্দেনের ছেলে জাগের হোসেন(২৯) একই গ্রামের বৈদ্য করিম দাঁদের ছেলে আফজল হেসেন (৩২) ও একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ডুমখালী-রিজার্ভ পাড়ার আব্দুল আলমের ছেলে আলি আজগর(৩০)।
ছিনতায়ের শিকার জাগের হোসেন জানান,তিনি ঋণদানকারী ব্যাংক থেকে প্রায় দেড় লক্ষটাকা ঋণ নিয়ে মিনি-টমটমটি ক্রয় করেন।ক্রয়কৃত মিনি-টমটম নিয়ে গত ৭অক্টোবর দুপুরে ভাড়া নিয়ে ফাঁসিয়াখালীর এটিএন পার্কের সামনে গেলে যাত্রীর থাকে ১হাজার টাকার নোট দিলে।চালক ভাংতি নেই বলে জবাব দেয়।মহিলা ও পুরুষ যাত্রীর বলেন টাকাটি দোকান থেকে ভেঙ্গে নিতে।তখন চালক টাকা ভাঙ্গতে গেলে মুহুর্তের মধ্যে যাত্রীরা গাড়ীটি নিয়ে উধাও হয়ে যায়।পরে সে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ৭অক্টোবর চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অদ্যবধি পর্যন্ত প্রশাসন গাড়ীটির কোন খোঁজ দিতে না পারায়,হতাশ চালক জাগের।এটি ছিল তার সংসারের একমাত্র উপার্জন বাহক।
এদিকে একই স্টাইলে গত ১২ অক্টোবর আলি আজগরের মিনি-টমটমটিও নিয়ে যায়।সেও ঋণদানকারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ীটি ক্রয় করে নিজেই চালাতো।আজ তিনিও ছিনতায়ের কবলে পড়ে স্বর্বস হারিয়ে,টেনশনে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
আফজাল জানান,আমার মাকে দিয়ে ঋণদানকারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে আমি মিনি-টমটমটি ক্রয় করি।গত ১৯ অক্টোবর বিকেলে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে গেইটের উত্তর পাশে গাড়ী দাড়িয়ে রেখে পূর্বপাশে চা-দোকানের আসি।টাকা ভেঙ্গে গাড়ীর দিকে যেতে দেখি গাড়ী নেই।
তাদের পরিবারের দাবী প্রশাসন আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করলে,গাড়ীগুলো উদ্ধার হবে বলে আশাবাদী তারা।
চিরিংগা হাইওয়ে থাানার ভারপ্রাপ্ত ইনর্চাজ এসআই খোকন নাথ বলেন,মিনি-টমটম গাড়ী ছিনতাই সম্পর্কে কেউ আমাদেরকে জানাইনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
চকরিয়া থানার এসআই মুজিবুর রহমান বলেন,মিনি-টমটম ছিনতায়ের একটি অভিযোগ পেয়েছি।বিস্তারিত জানতে অভিযোগকারীকে আসতে বলছিলাম।কিন্তু সে নাকি আসেনি।আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।