স্টাফ রিপোর্টারঃ
যৌতুকের জন্য স্ত্রী ইয়াছমিন জন্নাত ও নানী শ্বাশুড়ী মনোয়ার বেগমকে বেদড়ক মারধরে আহত করলেন পলাতক আসামী ও বখাটে স্বামী শহিদুল করিম।মারধরে দায়ে আহত মনোয়ারা বেগমের বড়ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৩৫) বাদী হয়ে চট্রগ্রাম বিজ্ঞ চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।যার সিআর মামলা নং৫৬৩/২২ইং(সীতাকুণ্ড)।
মামলার বাদী-জাহাঙ্গীর আলম(৩৫) চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার জাফরাবাদ ইউপির উত্তর সলিমপুর-কালু শাহ নগরের আলম মোঃ বাড়ীর বাসিন্দা মৃত কামাল উদ্দিন ছেলে অর্থ্যাৎ আহত মনোয়ারা বেগমের ছেলে।
মামলার আসামী হলেন-শহিদুল করিম(৩০) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সওদাগর ঘোনার বাসিন্দা ফিরোজ আহমদের ছেলে।তবে বর্তমানে একই উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপির ১নং ওয়ার্ডস্হ রিংভং ছগিরশাহকাটার-দক্ষিণ পাহাড়ের বাসিন্দা তিনি।
আসামীর স্ত্রী ইয়াছমিন জন্নাত পার্বত্য লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের অংশারঝিরি এলাকার গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে(সংক্ষিপ্ত),আসামী শহিদুল করিম চকরিয়া থানার ডাকাতির মামলা পলাতক আসামী হয়।তথ্য গোপন রেখে গত ২০১৬ সালের ১০ আগষ্ট মাসে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিবাহ হয়।বিবাহের পরে তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে।তখন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত ইয়াছমিন জন্নাতের স্বামী শহিদ বেকার জীবন যাপন করেই চলছে।পরে সংসারের খরচ বহনে স্বামীর অক্ষমতা দেখায় বাদীর পরামর্শে তারা চট্রগ্রাম শহরে চলে যান।সেখানে গিয়ে তারা সলিমপুর,ফকিরহাট মহাসকড়ের পূর্ব পাশে রেল লাইনের পশ্চিমপাশে রফিকের বাসায় ভাড়া থাকেন।সেখানে থেকে স্ত্রী ইয়াছমিন একটি গার্মেটস চাকরি করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।তবু ভিকটিমের স্বামী বেকার দিনযাপন করছে এবং নেশাপানে আসক্ত হয়ে পড়ে।এই কারণে তাদের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যতা,ঝগড়া-বিবাদ লেগে আছে।এ বিষয়ে সামাজিক ভাবে একাধিকবার সমাধানও হয়েছে।তবু ক্লান্ত হননি নেশায় আসক্ত ভিকটিমের স্বামী শহিদ।তাই তাদেরকে আবারো শান্ত্বনা দিতে আসেন নানী শ্বাশুড়ী মনোয়ারা বেগম।শান্ত্বনা দিতে গিয়ে গত ৩০ আগষ্ট রাত ৭ঘটিকার দিকে ভিকটিমের স্বামী উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে ভিকটিম ইয়াছমিন পরে নানী শ্বাশুড়ী মনোয়ারা বেগমকে শক্ত কাঠ,লাথি,কিল,ঘুষি,গরম পানি মেরে রক্তাক্ত জখম করে।এতেও শান্ত না হয়ে ডাকাত স্বামী শহিদ নিজের স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টাকালে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেছেন।উদ্ধার শেষে আহতদেরকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বিধায় মামলার বাদী এহেন নির্যাতন ও যৌতুক চাওয়ার প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করেন।