চৌধুরী আবরার :
বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায় প্রচুর জেলিফিশ। জেলিফিশের রয়েছে প্রচুর খাদ্য মুল্য এবং অষুধ শিল্প ও কসমেটিকস শিল্পে জেলিফিশের অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বানিজ্যিক ভাবে জেলিফিশের আহরণ করে তা রপ্তানি করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার সকালে ‘জেলিফিশকে জানি, এই সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাই’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আলোচকেরা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আন্তর্জাতিক এই সেমিনারটি আয়োজন করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট।
প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদ-উন-নবী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ফিশারীজ রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিএফআরআই) এর মেরিন ফিশারীজ এন্ড টেকনোলজি স্টেশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.শফিকুর রহমান, চবির ফিশারীজ অনুষদের প্রফেসর আশরাফুল আজম খান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি অনুষদের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ এম. গোলাম মোস্তফা। এছাড়া ভারতের আন্নামালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ এস. ব্রগদেশ্বরন ও পাঞ্জাবের লাভলী প্রফেশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি স্কলার অমিতা কুমারী চৌধুরী প্রমুখ ভার্চুয়ালী সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন।
সেমিনারে জানানো হয়, নামে ফিস হলেও জেলিফিস কোনো মাছ নয়। প্রায় ৫ হাজার কোটি বছর ধরে জেলিফিশের বিশ্বের মহাসাগরে বিরাজমান। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল এবং গভীর সাগরে প্রচুর জেলিফিশ পাওয়া যায়। সেমিনারে বায়োলজি, টক্সিন ও মানব কল্যাণ, জেলিফিশ ব্লুম সংরক্ষণ এবং প্রসপেক্টাস ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়।