জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশের ৮ ঘন্টার বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলার পরোয়ানাভূক্ত ৩২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোরবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার ১৮ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ৮টি টিম বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করেছেন।
একইসঙ্গে র্যাবের একটি অভিযানে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকা থেকে হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলার পলাতক আসামি আবছার নামের একজনকে গ্রেফতার করেছেন।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার (এসআই) রাজীব চন্দ্র সরকার বলেন, জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে এলাকাভিত্তিক দাগী অপরাধী ও মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতারে চকরিয়া থানা পুলিশ রোববার রাতে বিশেষ অভিযান জোরদার করেন। এরই অংশহিসেবে সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) চকরিয়া সার্কেল মো.তফিকুল আলম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, ওসি তদন্ত মো.আবদুল জব্বারের নেতৃত্বে রোরবার রাত দশটা থেকে সোমবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ১৮ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় পুলিশের অন্তত আটটি ইউনিট এ অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, অভিযানে একটি সাজা, ১৯টি জিআর পরোয়ানা ও ১২টি সিআর মামলার পরোয়ানামুলে মোট ৩২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে র্যাবের একটি অভিযানে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকা থেকে হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলার পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার বিকালে থানার এসআই মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড থেকে মো.সাঈদী নামে এক দাগী অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। সে ওই ওর্য়াডের কাজিরপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের একটি সিআর মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামি সাঈদী স্থানীয় এক সাংবাদিকের বসতবাড়িতে হামলা তাণ্ডবের ঘটনায় চাঁদাবাজি মামলার ১১ নং আসামি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন,অভিযানে গ্রেফতারকৃত ৩২ আসামীকে সোমবারে আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।এসময় শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত বেশির ভাগ আসামীকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।