বিডি প্রতিবেদক :
বঙ্গোপসাগরে টানা ৬৫ দিনের মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে শনিবার রাত ১২টায়। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূল দিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যেতে শুরু করেছে অসংখ্য ট্রলার। জেলা সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় সাগরে মাছ ধরার ট্রলার আছে।
ট্রলারের জেলেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের ৪০-৬০ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে জাল ফেললেই ধরা পড়বে ঝাঁকেঝাঁকে ইলিশ। চার-পাঁচ দিনের মাথায় এই ইলিশে সয়লাব হবে হাঁটবাজার।
শনিবার দুপুরে শহরের বাঁকখালী নদীর ফিসারীঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে শতশত ট্রলার। জেলেরা ট্রলারে বরফ, জ্বালানি তেল ও পাঁচ-সাতদিনের খাবারের (রসদ) মজুত করছেন। কেউ কেউ মাছ ধরার জাল সংরক্ষন ( গুছিয়ে) করছেন। কিছু কিছু ট্রলার নদী থেকে সাগরের দিকে রওয়ানা দিয়েছে। শহরে সকাল থেকে থেমেথেমে বৃষ্টি হচ্ছে, সাগরও উত্তাল। বৈরী পরিবেশে সাগরে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, ৬৫ দিনের (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পযন্ত) সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার মধ্যরাত ১২টায়। এরপর থেকে কয়েক হাজার ট্রলার সাগরে নেমে পড়বে মাছ ধরতে । আহরিত ইলিশের আকার ও ওজন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সময়সীমার আগে ট্রলারের মাছ ধরতে সাগরে নামা প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, শহরের ফিসারীঘাটসহ জেলার বিভিন্ন উপকূলে রাত দিন পাহারা দিচ্ছে মৎস্য বিভাগের কর্মীরা। তারপরও ফাঁকফোকড় দিয়ে কিছু ট্রলার সাগরে নেমে পড়ছে।