বিডি প্রতিবেদক :
পিকেএসএফ এর আর্থিক এবং কোস্ট ফাউন্ডেশনের কারিগরি সহযোগীতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট এর ঋণ সহায়তার মাধ্যমে উদ্যোক্তা পর্যায়ে শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য স্থাপন করা হল ‘‘পোর্টএ্যাবল কোল্ড স্টোরেজ কন্টিনার’’।
যার মাধ্যমে শুঁটকি উৎপাদন এলাকা দেশের সর্ববৃহৎ শুঁটকি পল্লী নাজিরারটেকের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ হল। উল্লেখ্য যে, দেশের সবচেয়ে শুঁটকি পল্লী নাজিরারটেকে বছরে ১.৪৫-১.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হলেও ইতিপূর্বে শুঁটকি সংক্ষণের জন্য কোন কোল্ড স্টোরেজ স্থাপিত হয়নি।
শুঁটকির মান দীর্ঘসময় ভাল রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজ সিস্টেমের বিকল্প নেই। নাজিরাটেকে কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা চালুর ফলে উৎপাদনকারীরা উৎপাদন/সংরক্ষণ পর্যায়ে কোন ধরনের বিষ/রাসায়সিকের ব্যবহার ছাড়াই শুঁটকি মজুদ করতে পারবেন। নিজ উৎপাদন এলাকায় কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থা চালু হবার ফলে উদ্যোক্তারা সহজেই কম খরচে শুটকি মজুদ করতে পারবে।
শুঁটকি উৎপাদন মৌসুম প্রতিবছরের অক্টোবর-এপ্রিল। এসময় সমুদ্র থেকে প্রচুর মাছ আহরণ করা হয় যা দিয়ে শুঁটকি তৈরী করা হয়। অধিত শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদনকারী সহজে ব্যবহারযোগ্য বিষ/ক্যামিকেল ব্যবহার করত। যা মারাতœক শারীরিক ক্ষতির কারণ। কাচা মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরীকালে স্বাভাবিকভাবে এতে ১৮-২০ আর্দ্রতাযুক্ত থাকে।
যা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দীর্ঘসময় রাখলে শুঁটকিতে পোকার আক্রমণ হয়। পোকায় আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য উৎপাদনকারীরা সাধারণত বিষ/ক্যামিকেল ব্যবহার করে। কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থায় শুঁটকি সংরক্ষণের মাধ্যমে বিষের ব্যবহার রোধ করা যায়।
বর্তমানে শুটকি পল্লীতে কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা চালুর ফলে নাজিরারটেকের শুঁটকিতে বিষ/রাসায়নিকের প্রভাব অনেকাংশে কমে যাবে। শুঁটকি পল্লীতে নিশ্চিত হবে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন। স্থানীয় প্রায় ১০০-১২০ জন্য উদ্যোক্তা সরাসরি শুঁটকি মজুদ করতে পারবেন।
নিজ এলাকায় এ ধরনের ব্যবস্থা চালুর ফলে উদ্যোক্তারা কম করচে শুঁটকি মজুদ করতে পারবে আর্থিক ভাবে উপকৃত হবেন এবং ভোক্তা পর্যায়ে নিশ্চিত হবে নিরাপদ শুঁটকির সরবরাহ।