মোঃ শাহাদত আলী জিন্নাহঃ
বান্দরবান পার্বত্য জেলা লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ২,৫,৭ও ৯,নং ওয়ার্ডের লোকজন মোবাইল নেটওয়ার্ক না পাওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সমুখীন হচ্ছেন। বেশির ভাগই সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ী ও শিক্ষা-প্রতিষ্টানের কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা। উক্ত ওয়ার্ডে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করলে এলাকাটির আমুল পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ী “আ’মজনতা”র আবদু জলিল কোম্পানী ও হাজী মিজানুর রহমান,মোঃ ইমাম উদ্দিন।
জানা যায়, ফাইতং ইউনিয়নের ২,৫,৭ও ৯নং ওয়ার্ডটি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। জন সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৫ শত। ফাইতং ইউনিয়নের অধিকাংশ ঘনবসতিপূর্ণ উক্ত ওয়ার্ডে অবস্থিত। অথচ এ ওয়ার্ডের কোন ধরণের মোবাইল টাওয়ার না থাকায় মোবাইল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনাসহ বিভিন্ন লেন-দেন ঠিক সময়ে করতে না পারায় সমস্যার সমূখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী “আ,মজনতা” আবদু জলিল কোম্পানী থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ার স্থাপন করা হলে আর্থিক স্বচ্চলতা সহ ঐ ওয়ার্ডের লোকজন বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। এদিকে ৪,৫ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বলেন, আমার ৫নং ওয়ার্ডে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সেবা দিতে খুবই কষ্ট পাচ্ছি, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিধু বলেন, আমার ওয়ার্ডে মোবাইল নেটওয়ার্কের অতান্ত প্রয়োজন। আমি এলাকায় সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি, খেদারবান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফি জানান, আমাদের এলাকায় কোন মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ার না থাকার কারণে অফিশিয়াল যোগায়োগ করতে বেশি অসুবিধা, এখানে যদি একটি টাওয়ার হয় তা হলে আমরা অনেক সুবিধা পাব, রোয়াজা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদু রহমান বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে আমরা অফিসে ঠিকমত তথ্য আদান-প্রদান করতে সমাস্যা হচ্ছে, মোবাইলে ফোন আসলে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে হয়, সোনাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ত্রিপুরা বলেন, আমাদের ২নং ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই।
এই বিষয়ে রবির এরিয়া ম্যানেজার ডিমেন্ট চক্রবর্তী থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি আমি এখনই জানলাম, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখি কি করা যায়।