বিডি প্রতিবেদক :কক্সবাজার শহরের দি কক্স সিটি সুপার মার্কেট থেকে ২০৪ টি অবৈধ সিমকার্ডসহ সিমকার্ড নিবন্ধন জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫
শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড পাহাড়তলী নতুন বাজার এলাকার মোঃ জামালের ছেলে মোঃ জাহিদ (১৯), কক্সবাজার পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড বদরমোকাম এলাকার খুরশেদ আলমের ছেলে মোঃ ফারুক (১৯), কক্সবাজার পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড খাজা মঞ্জিল এলাকার মৃত মোঃ আলীর ছেলে মোঃ ইলিয়াস (২৭), কক্সবাজার পৌরসভা ১০নং ওয়ার্ড সদর হাসপাতাল রোড এলাকার কালীপদ সাহার ছেলে সুজন সাহা (৩০) ও
কক্সবাজার পৌরসভা ১০নং ওয়ার্ড সদর হাসপাতাল রোড হরিজন পাড়া এলাকার জীবন বিশ্বাসের ছেলে জয় বিশ্বাস (২৪)।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে কক্সবাজার শহরের দি কক্স সিটি সুপার মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধনকৃত সিম বিক্রি করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে এবং উল্লেখিত স্থান থেকে অবৈধভাবে নিবন্ধিত ২০৪ টি সিমকার্ডসহ ৫ জনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধভাবে সিমকার্ড বিক্রির মূলহোতা জয় বিশ্বাস জানায়, সে দীর্ঘদিন একটি টেলিকম অপারেটরে চাকুরী করতো এবং সেখান থেকে একটি সিমকার্ড কিভাবে অবৈধভাবে সচল ও ব্যবহার করা যায় সেই ধারনা নেয়। তার এক সহকর্মী (ব্যাচমেট) চট্টগ্রামের একটি টেলিকম কোম্পানীতে বর্তমানে চাকুরীরত আছে এবং সে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ পন্থায় সিমকার্ড সংগ্রহ করে তা কক্সবাজারের জয় বিশ্বাস এর নিকট পাঠাত। এবং জয় বিশ্বাস কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো চড়া মূল্যে বিক্রি করতো।
অবৈধভাবে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, টেলিকম কোম্পানীতে চাকুরীরতদের (চক্রের সদস্য) নিকট কোন গ্রাহক সিমকার্ড পরিবর্তন করতে আসলে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে যেকোন একটি সমস্যা দেখিয়ে ২য় বারও আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিমকার্ড পরিবর্তন করে দেয়া হতো। অতঃপর গ্রাহকদের ১ম বার আঙ্গুলের ছাপ তাদের সংগ্রহে রেখে অন্য একটি সিমকার্ড ওই গ্রাহকদের নামে রেজিস্ট্রেশন করতো এবং তা বিক্রির উদ্দেশ্যে সরবরাহ করতো।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।