ফরিদুল আলম দেওয়ান- মহেশখালী :
ছবির এই ব্যক্তি মরহুম জনাব আহমদ হোছাইন। মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। ১৯৮৫ সালে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। তিনি তিনি তৎকালীন কক্সবাজারের সাপ্তাহিক পত্রিকা গুলোতে গল্প, নাটক, কবিতা ও উপন্যাস লিখতেন। তাহার লেখায় প্রকাশিত অনেক গ্রন্থ রয়েছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সৌখিন ভাবে রিপোর্টিংও করতেন। তখন আমি ছিলাম কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক স্বদেশ বাণী পত্রিকার মহেশখালী প্রতিনিধি। সেই সুবাদেই তাহার সাথে আমার পরিচয় ও যোগসূত্র। আমার জানামতে মহেশখালী দ্বীপে সাংবাদিকতার গোড়াপত্তনের ইতিহাসে মরহুম আহমদ হোছাইনই প্রথম সাংবাদিক। অপরদিকে এই সময়ে মহেশখালী থেকে পেশাগতভাবে প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেন মহেশখালীর দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের শফিকূল্লাহ খাঁন। তিনি দৈনিক পূর্বকোণের মহেশখালী প্রতিনিধি ছিলেন। শফিকূল্লাহ খাঁনের পরেই মহেশখালী থেকে পেশাগতভাবে সাংবাদিকতায় দ্বিতীয় অবস্থানে আমার হাতে খড়ি। এই সময়ে মহেশখালী থেকে শখের বসে সৌখিন সাংবাদিকতায় যিনি জড়িত ছিলেন তিনি মরহুম ডাক্তার সুলতান উদ্দিন আহমেদ। ইতিহাসের এই ধারাবাহিকতা অন্য কেউ স্বীকার করুক আর নাইবা করুক, অন্তত আমিই স্বীকার করব।
২০০০ সালের আজকের এই দিনে মহেশখালীর এই গুণী ব্যক্তি শ্রদ্ধেয় আহমেদ হোছাইন আমাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিয়েছিলেন। আজকের এই দিনে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি তাকে। মহান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। আমীন।