নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে মোবাইল টাওয়ার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত ১৯ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্ত চট্রগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম এ আদেশ দেন। বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আলহাজ¦ শফিউল আজম এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট লাগোয়া বাংলালিংক মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ারটি ১৫ দিনের মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় পরিবেশ আদালতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, কারাগার, খেলার মাঠ, জনবসতী, হেরিটেজ, প্রত্মতাত্বিক ও বাসার ছাদে মোবাইল টাওয়ার না বসাতে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ভারুয়াখালীর সাবেক পাড়া এলাকাবাসী, আজম মেহের জামে মসজিদ, আজম মেহের নুরানি মাদ্রাসা, আলহাজ¦ শফিউল আজম এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট লাগোয়া বাংলালিংক মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ারটি নির্মান করে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করতে চাইলে এলাকাবাসী, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। এসব প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনও করেন। কোন আপত্তি না মেনে বিদ্যালয়ের মাঠের বিপুল জায়গা জবরদখল করে টাওয়ারটি নির্মান করে অভিযুক্তরা।
এতে আলহাজ¦ শফিউল আজম এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক এ কে এম আলমগীর বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বাংলালিংক মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ারটি সরিয়ে ফেলার জন্য অভিযুক্ত বাংলালিংক কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার আবুল বশর কন্ট্রাক্টর, ভারুয়াখালীর সাবেক পাড়া এলাকার আব্দু সালামের স্ত্রী মোবারেকা, মৃত কালা মিয়ার পুত্র আব্দু সালাম, মৃত আব্দুল হালিমের পুত্র মোহাম্মদ হোছন, মৃত আব্দু জব্বারের পুত্র শফিকুল রহমান, মৃত কালা মিয়ার পুত্র রহমত ছালাতের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগাম অঞ্চল কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগাম অঞ্চল কার্যালয় কর্তৃক এনফোর্সমেন্ট মামলা নং ৬১৮/২০২২ (কক্সবাজার) শুনানি শেষে স্থানিয় জনগন ও ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আপত্তি থাকায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে ১৫ দিনের মধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ারটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ভুমির মালিক ও মোবাইল টাওয়ার কোম্পানিকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত সময়ের মধ্যে মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ারটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দাবী জানান উক্ত এলাকার সকল শ্রেনির মানুষ।