চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বনভূমি উপর নির্মিত বসতভিটা আর মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলের সীমানা বিরোধের জের ধরে ভাংচুর ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফ্রেরুয়ারী) দুপুর ১২টার উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নস্হ মালুমঘাট স্কুলের সীমানাস্ত জায়গাতে এঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,বসতভিটা আর স্কুলের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব জেরে কিছু গাছপালা সহ সীমানায় থাকা পাঁকা খুঁটি কাটা আর ভাংচুর দেখেছি।
ভূক্তভোগি ডুলাহাজারা ইউপির মালুমঘাট বাজারপাড়াস্হ প্রবাসী মনির আহমদের স্ত্রী শাহিদা আকতার জানান,আমি স্কুলের সীমানা সংলগ্ন দখলকৃত জায়গা ক্রয় করে দেড়যুগ ধরে বসবাস করে আসছি।দীর্ঘদিন ধরে আমার বসতভিটার জায়গা থেকে কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক।জায়গা ছেড়ে না দেওয়ায় তিনি বুধবার ১২টার দিকে বহিরাগত লোক এনে হঠাৎ আমার বসতভিটার সীমানার পাঁকা খুঁটি আর কিছু ফলজ গাছ কেটে ফেলে।হঠাৎ এসব দেখে আমি প্রতিবাদ করি।কারণ এই সীমানা এমপি মহোদয় নিজেই ঠিক করে দিয়েছিলেন।তিনি এমপির নির্দেশের কথা না মানাই তুমুল তর্কাতর্কি হয়েছে।এই ঘটনা এখনো করতেন না তিনি।এর মূল কারণ প্রধান শিক্ষক মালেক দুইমাস আগে থেকে জায়গা ঠিকাতে মোটা অংকের চাঁদা চাইছিল।যদি তার দাবীকৃত টাকা দিতাম।তাহলে আজ এঘটনা হতো না।
মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান,আমার স্কুলের উত্তরের সীমানার লাগোয়া চলাচল পথ।অভিযুক্ত শাহিদা এই পথের জায়গা দখল করে ফেলেছে।যে কারণে স্কুলের পূর্বে থাকা বাড়ী-ঘরের লোকজন বর্তমানে স্কুলের ফিল্ডের উপর দিয়ে চলাচল করছে।ফলে স্কুল অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।এবিষয়ে এমপি মহোদয় আমাদের দুইপক্ষকে ডেকে সীমানা ঠিক করে দেন।আজ তারা এমপির নির্দেশ মানেনি।তাই চলাচল পথ খুলে দিতে বলার পরও পথ খুলে না দেওয়ায় স্কুলের কোমলমমতি শিক্ষার্থী দিয়ে তাদের দখলকৃত টেংরা উঠায়া ফেলি।এমতাবস্থায় তারা দা,রড় হাতে নিয়ে আমাকে ধাওয়া করে মালুমঘাট বাজারে নিয়ে যায়।পরে বিষয়টি থানার ওসিকে জানালে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন,স্কুলের আর বসতভিটার সীমানা বিরোধের ঘটনা ঘটেছে।আমি ঘটনাস্থল গিয়ে পরিদর্শন করি।উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিই।পাশাপাশি তাদেরকে স্ব-স্ব ডকুমেন্ট দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের পরামর্শ দিয়েছি।