শিরোনাম :
কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ চিকিৎসা সেবা : রোগি শূণ্য হাসপাতাল # চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা; গ্রেপ্তার ২ কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত উখিয়ায় ককটেল মৌলভীর সাম্রাজ্যে বনবিভাগের থাবা, বনের জমি উদ্ধার বিভাজনের রাজনীতিতে পা দিলে রাস্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না–সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কক্সবাজারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফোন চুরি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন” পেকুয়ায় সন্তানের নির্যাতনের শিকার বয়োবৃদ্ধ পিতা যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন সাবেক এমপি ফজলে করিম শহীদ ওয়াসিমের মায়ের পাশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ রোদ-বৃষ্টি আধার রাতে;আমরা আছি রাজপথে-চকরিয়াতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক-হাসনাত আব্দুল্লাহ

বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী এলাকার তিন শতাধিক একর জায়গা দখলমুক্ত

নিউজ রুম / ১৭ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্রে বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনন্ত তিন শতাধিক একর জায়গা দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন; এতে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা।

এদিকে দখলমুক্ত জায়গায় নদী বন্দর স্থাপনে সরকারের পরিকল্পনার তথ্য জানিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ” বাঁকখালী তীরের অন্যান্য এলাকার অবৈধ দখলদারদের নতুন করে তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। তালিকা তৈরী শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান সমাপ্তির পর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান জানান, দুইদিনের অভিযানে কাঁচা-পাকা ও ছোট-বড় অনন্ত পাঁচ শতাধিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে দখলমুক্ত হয়েছে অনন্ত তিন শতাধিক একর জায়গা। খুরুশকূল-কস্তুরাঘাট সংযোগ সেতু থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়েছে উল্লেখ করে এডিএম বলেন, ” বাঁকখালী তীরের প্যারাবন কেটে এবং ভরাট করে শত শত একর জায়গায় নানা স্থাপনা গড়ে তোলে অবৈধ দখলদাররা। অভিযানে দখলমুক্ত জায়গা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ( বিআইডব্লিউটিএ ) এর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। দখলদাররা যত প্রভাবশালীই হোক কোন ছাড় পাবে না। ”

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগসহ আইন শৃংখলা বাহিনী যৌথ অভিযান শুরু। বুধবার সন্ধ্যায় শেষ হওয়া এ অভিযানে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

দখলদাররা উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্ত করতে একাধিকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এতে মঙ্গলবার দুপুরে অবৈধ দখলদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে একদল লোক হামলা চালায়। ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিক সামান্য আহত হন।

পরে প্রশাসনের নির্দেশে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ওই দখলদারের সবক’টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাঁকখালী নদী তীরের অন্যান্য এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারি দখলদারদের নতুন করে তালিকা তৈরীর কাজ চলছে বলেও জানান আবু সুফিয়ান।

অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বাঁকখালীর অবৈধ দখলদারদের নতুন তালিকাটি জমা দেওয়ার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মত আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো। কোন দখলদারকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তাই আগেই নদীর জায়গা দখল ছেড়ে দিয়ে নিজেদের সম্পদহানি থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন মো. আবু সুফিয়ান।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ( বন্দর ও পরিবহন বিভাগ ) নয়ন শীল বলেন, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার বিআইডব্লিউটিএ-কে প্রস্তাবিত ‘বাঁকখালী নদী বন্দরের’ সংরক্ষক নিযুক্ত করে। প্রজ্ঞাপনে নদীর তীরের ৭২১ একর জমি সংস্থাটিকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা ছিলো। পরে ওই সময়ের জেলা প্রশাসনের আপত্তির কারণে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভূমি পুনঃ যৌথ জরিপ করা হয়।

” জরিপে নির্ধারিত জমি হাইকোর্ট এক রীটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নদী তীরের ভূমি বিআইডব্লিউটিএ-কে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দিয়েছিলো। ”

নানা কারণে তা বিলম্ব হয়েছে মন্তব্য করে বিআইডব্লিউটিএ এর এ কর্মকর্তা বলেন, ” ইতিমধ্যে সংস্থাটির পক্ষে পিলার লাগিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে ধারাবাহিকভাবে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন। ”

নয়ন শীল জানান, দখলমুক্ত জায়গাসহ বাঁকখালীর কস্তুরাঘাট এলাকায় নদী বন্দর স্থাপনে নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনা রয়েছে। তা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর