বিডি প্রতিবেদক রামু :
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতি কমাতে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজায়নের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। যেকোনোভাবে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা করতে হবে। বন বিভাগের নতুন বনায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বর্ষা মৌসুমে সবাইকে গাছ লাগাতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা এক খন্ড জমিও যাতে খালি না থাকে সে বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিক কে বনায়ন এগিয়ে আসতে হবে।
উপমন্ত্রী ১৩ মার্চ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে দক্ষিণ বন বিভাগ ও নেকমের আয়োজনে রামুর রাজারকুল রেঞ্জ অফিসে উপকারভোগীদের মাঝে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের বন ব্যাবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় জীবিকা উন্নয়ন তহবিলের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন।
তিনি বলেন, উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকার প্রান্তিক মানুষকে বনের উপর নির্ভরতা কমাতে তাদের প্রশিক্ষিত করে উদ্যোক্তা করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল,প্রধান বন সংরক্ষক মো আমীর হোসাইন চৌধুরী, পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড,মুনিরা সুলতানা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাপ্তি চাকমা,দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো সারওয়ার আলম,নেকম চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড, মো আবদুর রব মোল্লা,সুফল প্রকল্পের উপ পরিচালক আব্রাহাম হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধিসহ উপকারভোগী বিভিন্ন বনবিটের নারী-পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অধীনে রাজারকুল রেঞ্জের সাতটি বিটের ১১ টি ইউনিটের ৬৩৭ জনকে জনপ্রতি ৪২ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ ১ শ হেক্টর জমিতে দেশীয় বিরল ও মিশ্র ১০০ প্রজাতির বাগান সৃজনের নার্সারি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপমন্ত্রী ।