বিডি প্রতিবেদক :
ডুপ্লিকেশন এড়িয়ে চলতে অবশ্যই হোস্ট কমউিনিটিতে লাইভলীহুড সাপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র ভালভাবে যাচাই বাছাই করতে হবে। রিফিউজি রিলিফ এন্ড রিপাট্রিয়েশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (আরআরআরসি) প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় একথা বলেন।
দুইদিন ব্যাপী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও এফআইভিডিবি’র এএইচপি প্রকল্পের প্রোগ্রাম রিফ্লেকশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি) বাস্তবায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এএইচপি কনসোটিয়াম বাংলাদেশ মাল্টি-ইয়ার প্রোগ্রাম এর রিফ্লেকশন কর্মশালা ১২-১৩ মার্চ তারিখ কক্সবাজার হোটেল ওশান প্যারাডাইস এ আরাকান কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রিফিউজি রিলিফ এন্ড রিপাট্রিয়েশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি প্লান ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশের হেড অব কক্সবাজার প্রোগ্রাম, আশীষ কুমার বকশী এবং এফআইভিডিবি এর নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তফা রাজী। অনুষ্ঠানে এইচপি প্রকল্পের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: রমজান আলী। কর্মশালায় আরআরআরসি কমিশনার বলেন, হোস্ট কমিউনিটিতে লাইভলীহুড সাপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র ভালভাবে যাচাই-বাছাই করে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে করে ডুপ্লিকেশন এড়িয়ে চলা যায়। মো: মহিউদ্দিন সরদার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হিউমেনেটিয়ান রেসপন্স, এফআইভিডিবি কক্সবাজার, নাহিদা আরেফিন নীতু- কমিউনিকেশন এন্ড এ্যাডভোকেসী ম্যানেজার, কেয়ার বাংলাদেশ, রোমেনা আক্তার- সিপিআই লীড, সামিউল হক চৌধুরী-সিনিয়র প্রোজেক্ট ম্যানেজার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং সালাউদ্দিন মল্লিক-প্রকল্প সমন্বয়কারী এফআইভিডিবি টেকনাফ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। এএইচপি-প্রকল্পের প্রোগ্রাম রিফ্লেকশন কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- প্রকল্পের সম্পাদিত কার্যক্রমের অগ্রগতি, সফলতা এবং চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরা এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা। উল্লেখ্য এফআইভিডিবি এএইচপি প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি থিমেটিক এরিয়ায় কাজ করে, এগুলো হচ্ছে- শিশু সুরক্ষা, শিক্ষা এবং লাইভলীহুড। এই প্রোগ্রামটি অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিফাট-এইচপি’র আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি টেকনাফ সদর, পৌরসভা ও বাহারছড়া ইউনিয়ন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং ২১, ২২, ২৩ ( ক্লোজড্), ২৪ ও ২৫ এ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানা গেছে।