বিডি প্রতিবেদক :
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাশনের প্রস্তুতি দেখতে এবং স্বদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই বাছাই করতে মিয়ানমারের ২২ জনের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে। মিয়ানমারের রাখাইন ষ্টেটের মংডু টাউনশীপ থেকে সকাল ১০টার কিছু পরে নাফ নদী পার হয়ে স্পীড বোটে করে তারা টেকনাফ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছে। এসময় শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, স্হানীয় প্রশাসন বিজিবি সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। প্রতিনিধি দলে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের ১৭ জন কর্মকর্তা এবং মিয়ানমার পুলিশের ৫ জন সদস্য রয়েছে।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কার্যালয়ের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাশন কার্যক্রমের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা রাখাইন ষ্টেটের মংডু থেকে টেকনাফে এসেছে। টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাশন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। পরে টেকনাফ বন্দর রেস্ট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া স্বদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক কয়েকশত রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথেও মতবিনিময় করেন। তিনি জানান প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই বাছাই করবেন।
প্রথম দিকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা এখন বলা হচ্ছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ খানেক রোহিঙ্গা রয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের দেওয়া এই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল মিয়ানমার।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে আশ্রিত আছেন।