বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন

নিউজ রুম / ১৩ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

বিডি ডেস্ক :
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মৈত্রী পাইপলাইনের ফলে উত্তরবঙ্গে জ্বালানি তেল পরিবহন হবে সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যা জোরদার করবে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা।
আজ ১৮ মার্চ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে ভারত-বাংলাদেশ এই মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। দু’দেশের জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে আমরা একসাথে কাজ করে যাব।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই পাইপলাইন দুই বন্ধুদেশের মধ্যে উন্নয়নের এক মাইলফলক তৈরি করবে। আমি চাই ভারতের বিনিয়োগকারীরা আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করুক। তাতে আমরা দু’দেশই লাভবান হব।
ভারত থেকে ডিজেল আনার জন্য ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধনের অনলাইন সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই পাইপলাইন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যত জোরদার হবে, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক ততো জোরদার হবে।
নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে যৌথ প্রকল্প ইতোমধ্যেই সফল হয়েছে। বর্তমান সময়ে ভারত বাংলাদেশকে ১১শ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ দেয়। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালু হয়। দ্রুত যেন দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা যায় সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করছি।
পাইপলাইনটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ১২৫ কিমি এবং ভারতের অভ্যন্তরে ৫ কিমি প্রসারিত। পাইপলাইনটির হাই স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) এর বার্ষিক পরিবহনের ক্ষমতা ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)। এটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় হাই স্পিড ডিজেল সরবরাহ করবে। বাংলাদেশ এতদিন ভারত থেকে রেলপথে ডিজেল আমদানি করত।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর