শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা বাসীর প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসাারের অনুরোধ এলাকাবাসীকে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন সচিব মোজাহেরঃবরণ করলো সালাহউদ্দিনকে চকরিয়ায় দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত খুটাখালীতে স্যালু মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনঃধসে পড়ার মূখে বেড়িবাঁধ চকরিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু কক্সবাজারে প্রতি হাজারে ২২ জন প্রতিবন্ধি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে-হামিদ আযাদ আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই যুবক আটক পর্যটক সাজা দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাঁধে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে ৪ টি অস্ত্র ওগুলি উদ্ধার কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টার, পরিদর্শনে বাফুফে টিম

পাহাড় কাটার মহোৎসব!

নিউজ রুম / ৩০ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন

সাকলাইন আলিফঃ
পৃথিবীর লোহ দণ্ড বলা হয় পাহাড়কে।প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
এর ওপর ভর করেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
অথচ এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে সেই পাহাড়গুলোকে সাবাড় করছে।
লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক পাহাড় রয়েছে,তবে সেসব পাহাড়গুলোতেও পড়েছে পাহাড় খেকোদের থাবা।
নিজস্ব ফায়দা লুটতে পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি, আবাস্থল গড়ে তোলাসহ নানা স্বার্থে এসব পাহাড়গুলোকে নির্বিচারে বিলীন করে দিচ্ছে।
সকাল থেকে রাত সমান তালে চলে পাহাড় কাটার কাজ তবে বেশিরভাগ সময়ে নিঝুম রাতে চলে বনাঞ্চলের আবৃতে ঘেরা পাহাড় কাটার ধুম।
বিগত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেকের চেয়ে বেশি পাহাড় ও টিলা কেটে সমতল করা হয়েছে,এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছেন না।
প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আধাঁরে পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে।
ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
সরেজমিন লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পাহাড়ের মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক ভেকু মেশিন।
যার মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে পাহাড়ের মাটিগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে,মাটি কেটে সেগুলোকে ড্রাম ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার অনেকেই গর্ত বা জমি ভরাট করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছে।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, যেভাবে নির্বিচারে ও অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে তা জনজীবনে হুমকি স্বরূপ।
পাহাড়ের তলে কিংবা পাহাড়ে যেসব বাড়িঘর রয়েছে ভারী বর্ষণে যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে,এতে ব্যাপক প্রাণহানির আশংকাও রয়েছে। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বিডি ওয়ার্ল্ড ২৪ কে বলেন…..
পাহাড় কাটা বেআইনি কিনা তা আমাদের জানা নেই,এ বিষয়ে কেউ আমাদের অবহিত করেনি। অনেকেই পাহাড় কেটে বাড়িঘর নির্মাণ করেছে। বিনা বাঁধায় মাইলের পর মাইল পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে,পাহাড় কাটার বিষয়ে আমাদের যথাযথ জ্ঞান না থাকায় আমরা আমাদের পারিবারিক প্রয়োজনে পাহাড় অংশ কাটা শুরু করলেও এখন তা বন্ধ করে দিয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন বিগত ৪-৫ বছর ধরে পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে,আমাদের ইউনিয়নে প্রায় তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগই পাহাড় কেটে ফেলেছে।
যদি প্রশাসন কোনো উদ্যোগ না নেয় তাহলে আর কিছুদিন পর এখানে আর কোন পাহাড় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অভিযোগ রয়েছে এলাকার মৃত মঙ্গবুল পুত্র ইয়াসিন ও প্রভাবশালী একটি চক্র এতে জড়িত থাকায় সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলছেন না,চক্রটি অবৈধভাবে গভীর রাতে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর