পেকুয়া থেকে সাতকানিয়ায় ডেকে নিয়ে মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে-মায়ের দাবী

নিউজ রুম / ১৬ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি আকতারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১মার্চ) বেলা ১২টায় পেকুয়া সদরের চৌমুহনীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ ছাত্রী রনি আকতার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ি এলাকার জাকের আহমদের মেয়ে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মো. আজমগীর, কপিল উদ্দিন, এফ এম সুমন, নিহত কলেজছাত্রী রনি আকতারের মা খালেদা বেগম, বাবা জাকের আহমদ, তারেক নাজেরী, কামাল হোসেন, মোস্তফা মানিক, মো. বাহাদুর ও আবু হানিফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে কলেজছাত্রী রনির মা খালেদা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১৩ মার্চ সাতকানিয়ায় ডেকে নিয়ে যান আমিনুর রহমান। আমার মেয়ে বিয়ের কথা বললে ১৪ মার্চ আমিনুর রহমান, তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনেরা নির্যাতন করে হত্যা করে। এঘটনায় আমরা সাতকানিয়া থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা রুজু করে।
খালেদা বেগম বলেন, আমি এখনও বলছি আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে আসামিরা। আমার মেয়েকে দাফনের আগে যাঁরা গোসল করিয়েছে তাঁরা শরীরের বিভিন্নস্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে আঁতকে উঠেছেন। বুকের দুপাশে, ঘাড়ে ও দুই হাতে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। আমার মেয়েকে যাঁরা হত্যা করেছে তাঁদের বিচার চাই।
খালেদা বেগম যখন তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন রনির সহপাঠী ও এলাকার অনেক মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মামলার কাগজপত্র ঘেঁটে ও রনির পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ১৩ মার্চ সকালে রনি আকতার কলেজে যেতে বাড়ি থেকে বের হন। পথিমধ্যে রনিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমিনুর রহমান সাতকানিয়ার বারদোনা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রনি বিয়ের কথা বললে তাকে আমিনুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করেন। ওই দিন রাত একটা থেকে তিনটার মধ্যে রনিকে হত্যা করা হয়। পরদিন ১৪ মার্চ ভোরে সাতকানিয়া থানা পুলিশ রনির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। দুপুর পৌনে দুইটায় সাতজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়।

তবে সুরতহাল প্রতিবেদনে কীটনাশকপানে রনির মৃত্যু বলে উল্লেখ করে পুলিশ। রনির মা খালেদা বেগম এ প্রসঙ্গে বলেন, নির্যাতনে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে হত্যাকারীরা। যাতে আত্মহত্যা বলে চালানো যায়।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকার সাব্বির আহমদের ছেলে আমিনুর রহমান, তাঁর ভগ্নিপতি মো. এনাম, ভাই মো. ফারুক, বোন হাছিনা আকতার ও নাছিমা আকতার, পেকুয়া সদরের শেখেরকিল্লাহ ঘোনার আবদুল হামিদ ও মো. কায়েস।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, রনিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে যদি হত্যার আলামত আসে, অবশ্যই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে এবং হত্যার ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর