শিরোনাম :
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে- টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পেকুয়া থানার নতুন ওসি মোস্তাফা’র যোগদান নারী-পুরুষ সমতা বিষয়ে শিশুদের সচেতন করতে কক্সবাজারে আরডিআরএস বাংলাদেশের নতুন প্রকল্প মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা। -মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ চিকিৎসা সেবা : রোগি শূণ্য হাসপাতাল # চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা; গ্রেপ্তার ২ কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত উখিয়ায় ককটেল মৌলভীর সাম্রাজ্যে বনবিভাগের থাবা, বনের জমি উদ্ধার বিভাজনের রাজনীতিতে পা দিলে রাস্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না–সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কক্সবাজারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফোন চুরি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন”

ডাক্তার মহিনের মাতৃসুলভ সেবা পেয়ে আবেগে আপ্লুত বয়োবৃদ্ধ মেহর খাতুন

নিউজ রুম / ১৭ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

ফারুক আহমদ উখিয়া :
বয়োবৃদ্ধ মেহর খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তার মহিনের মাতৃসুলভ সেবা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন,,মাঝে মধ্যে পিঠা বানিয়ে, পালক মুরগী ও নিজের জমানো ভাংতি পয়সা নিয়ে ছুটে আসতো ডাক্তার মহিনের নিকট। বলতো চিকিৎসা পেয়ে আমি আগের চেয়ে অনেক সুস্থ ,,, ডাক্তার মহিন নিজের গর্ভধারিনী মায়ের নিকট হতে কাপড় চেয়ে এনে বয়োবৃদ্ধ রোগী মেহের খাতুনকে পরিয়ে দিয়ে খুশিমনে বাড়িতে বিদায় দিত ,,,
ডাক্তার মহিনের এধরনের মানবিকতার অনেক দৃষ্টান্ত উদাহরণ রয়েছে,, ডাক্তার মহিনের রোগী সুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ, ধৈর্য অমায়িক ব্যবহার, স্বাস্থ্য সেবা ও মানবিকতা সত্যিই অসাধারণ,, এই গুণাবলী সবার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন ডাক্তার মহিন।
তিনি আজ উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিদায় নিচ্ছেন,, যদিওবা চাকুীর রীতি অনুযায়ী অসংখ্যবার বিদায় নতুন কর্মস্থলে যোগদান যেন এক প্রকার নিয়ম। ডাক্তার মহিনের বিদায়ে উখিয়া বাসী ভারাক্রান্ত,,, বিশেষ করে ডাক্তার মহিনের বিদায় বেলায় স্ট্যাটাস সবার হৃদয়ের মন কেড়ে নিয়েছে,,
হুবুহু ডাক্তার মহিনের স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো ,,,
“যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইবো না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেবো বেচা কেনা,
মিটিয়ে দেবো গো ,মিটিয়ে দেবো লেনা দেনা,
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে,
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।”
জীবনের সবচেয়ে সুন্দরতম অধ্যায় এর পরিসমাপ্তি। কর্মজীবন শুরু করেছিলাম আমার নাড়ী পোঁতা উখিয়া তে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উখিয়া ছিল আমার প্রথম কর্মস্থল।উখিয়ার আলো বাতাস মাটি ও মানুষ কে ভালবাসি সেই জন্ম থেকে কিন্তু কর্মের সুবাধে আরও কাছে যাওয়া,মানুষ কে আরও আপন করার সুযোগ হয়।।উখিয়ার গরীব দুঃখী দুস্থ ধনী সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সেবা করার সুযোগ হয়।।জানিনা কতটুকু পেরেছি কিন্তু চেষ্টা করেছি মানুষের সব সময় পাশে থাকার।।অজস্র মানুষের ভালবাসা পেয়েছি, পেয়েছি সম্মান।। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উখিয়ার সেবা কে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছি।।বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক,দেশী বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সহ বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার যে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে সত্যিই অতুলনীয়। উখিয়া হাসপাতালের সেবার মান ও হাসপাতালের পরিবেশ এখন বাংলাদেশে অনন্য।। এ পথ চলায় যে মানুষটি সব সময় সাহস জুগিয়েছেন ও সাপোর্ট করেছেন তিনি হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রঞ্জন বড়ুয়া রাজন স্যার। স্যার এর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ আমি।।স্যার এর কাছ এ অনেক কিছু শিখেছি। একজন অফিসার বান্ধব কর্মকর্তা স্যার।। আবাসিক মেডিকেল অফিসার এর দায়িত্ব পালন কালে নিঃসঙ্কোচ এ স্যার এর কাছে যা চেয়েছি স্যার তাই দিয়েছেন।। স্যার একজন বন্ধু, একজন অভিভাবক।।স্যার এর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এ প্রতিষ্ঠান আরও এগিয়ে যাবে। আমার সহকর্মী বৃন্দ সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন।। এমন ট্যালেন্টেড ও ডেডিকেটেড টিম বাংলাদেশের অন্য কোন হাসপাতালে আছে কিনা সন্দেহ।।কনসালট্যান্ট স্যার,ম্যাডাম ও অন্যান্য চিকিৎসক মিলে উখিয়া হাসপাতালে একগুচ্ছ মেধাবী চিকিৎসক এখন সেবা প্রদান করছে। আমি সত্যিই ভাগ্যবান আমার এমন কলিগবৃন্দ পেয়ে। সকলে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সবৃন্দ,মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ,প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ, স্যাকমোবৃন্দ, মিডওয়াইফ,স্টোর কিপার,ল্যাব স্টাফ, ওটি নার্স,ক্লিনিং স্টাফ, নিরাপত্তা প্রহরী সহ সকল সরকারি ও সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।। আমার সকল স্টাফ বৃন্দ আমার সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা।।তাদের অবদান আমি সব সময় কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করব।।সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ উখিয়ার মানুষের কাছে, তাদের ভালবাসাই আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি।। হয়তো আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল কিন্তু দিতে পারিনি। কিন্তু ক্ষুদ্র এ জীবন এ আজীবন উখিয়ার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব।।মহান আল্লাহ যেন আরও বৃহৎ পরিসরে আমাকে মানুষের সেবা করার সুযোগ দেন।।আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আমার প্রাণের স্পন্দন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উখিয়া।। আরও এগিয়ে যাক এ হাসপাতালের সেবার মান।জীবনের এ পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উখিয়া থেকে আপাতত বিদায়।
পরবর্তী কর্মস্থল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ।।
ফার্মাকোলজী বিভাগ

::: উখিয়ার সাংবাদিক ফারুক আহমদ এর এফবি থেকে নেয়া :


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর