‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে নাগরিক কমিটির প্রার্থী রাশেদের সংশয়’

নিউজ রুম / ১৪ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণ ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথে বড় বাধা। তারপরও আমি আশা করছি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (২০ মে) রাতে শহরের ৬নম্বর রাস্তার মাথায় হক শণ নামে নিজেদের বাসভবনে এক তাত্ক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এমন সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

রাসেদ বলেন, এখনো প্রতীক বরাদ্দ হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে পোস্টার-লিপলেটসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা বিধি ভঙ্গের বিষয়টি দেখেও দেখছেন না। উল্টো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আমাকে হয়রানি করছে নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরা।

ঈদের সময় আমি সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছি বলে আমাকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এটি শুধু পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে করেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তারপরও পৌরবাসিকে ধৈর্য ধরে ১২ জুন জনরায়ের প্রতিফলন ঘটানোর আহবান জানাচ্ছি। জনগণের রায় কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলে যেকোন পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্টরা দায়ি থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মাসেদুল হক রাশেদের ছোটভাই কায়সারুল হক জুয়েল।

জুয়েল বলেন, ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করে আমার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। এবং ১৯৬৪ সালে আমার বাবার পৌত্রিক সম্পত্তিতে আওয়ামী লীগের অফিস দেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেখানেই আওয়ামী লীগের অফিস ছিল। এখন আমরাই রাজাকার হয়ে গেছি ! এটি তো জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন করার অধিকার সবার রয়েছে। সরকারি দলের প্রার্থী সকল সুযোগ সুবিধা পাবে, অন্য প্রার্থীদের হুমকি ধমকি দেয়া হবে, কোন সুযোগ সুবিধা পাবেনা, তা হতে পারেনা। মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে আমার ভাই প্রার্থী হয়েছেন। আমাদেরকে গাজীপুরের জাহাঙ্গীরের মতো যদি নাজেহাল করার চেষ্টা করা হয়, আমরা বসে থাকবো না। আমরা আঙ্গুল চুষবো না। পৌরবাসিকে সাথে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করবো।

জুয়েল বলেন, আমি আমার ভাইয়ের নির্বাচন করার জন্য হোক বা অন্যকোন কারণে হোক চারদিন আগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ঢাকায় গিয়ে আমাকে বহিষ্কার করেছে বলে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি যেখানে পদত্যাগ করেছি সেখানে আমাকে বহিষ্কার করার বিষয়টি হাস্যকর।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুয়েল বলেন, আমরা কোনভাবে বিচলিত নয়। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবো। মূলত আমার বোন যুবমহিলা লীগের সভাপতি এবং মেঝ ভাই যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমাদেরকে নির্বাচন থেকে দুরে সরাতে ষড়যন্ত্র করছে তারা।

জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বলে বেড়াচ্ছেন একভোট পেলেও নাকি তিনি মেয়র হবেন। আর সেটি করবেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রভাবশালী এক সিনিয়র সচিবের মাধ্যমে। সাবেক এ সচিবই সকল ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর।

জুয়েল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যে-ই নির্বাচিত হোক আমরা মেনে নিবো। ফুলের মালা পরিয়ে দিবো। ভিন্ন কিছু চিন্তা থাকলে জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নানা স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেনা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার এসএম শাহাদাৎ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ কটা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর