আমাকে ঘায়েল করে,নৌকাকে ডুবানোর ষড়যস্ত্র চলছে -এমপি জাফর

নিউজ রুম / ১৫ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন

জিয়াউল হক জিয়া :
বিএনপি’র নেতা সালাহ উদ্দিনের সাথে আতাঁত করে,আমার মানহানি করার লক্ষে উদ্ভট মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর বিরুদ্ধেকক্সবাজার-১,চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি জাফর আলম কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর ২টার সময় চকরিয়ার অভিজাত হোটেল এরিস্টো ডাইনের কনভেনশন হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এমপি জাফর আলম বলেন,এমপি হয়ে অঢেল সম্পদের মালিক আমি।এহেন উদ্ভট মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।কারণ আমি যখন মেয়র প্রার্থী হই।তখনও প্রায় কোটি টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছি।পরে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান হই।তখনও কোটি টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছি।সে অনুপাতে সরকারী কর আদায় করে যাচ্ছি।বিএনপি’ সরকারের আমলে শারিরীক,মানসিক নির্যাতন,নিপড়ন সহ্য করে চকরিয়া-পেকুয়ার মাঠিতে অবহেলিত আ’লীগকে সুসংগঠিত করেই,জনসমর্থন নিয়েই ৪৩বছর পরে নৌকা প্রতিক নিয়ে আসনটিতে বিজয় লাভ করে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আসনটি উপহার দিয়েছি।এখন এই জনপদে নৌকার জয়জয়কার পতাকা উড়্ড়িন হয়ে উঠছে।তাই নৌকার পক্ষকারী,মিরজাফর,খন্দকার মোস্তাকেরা,পদপদবী হারিয়ে যখন পিছু হটঁছেন।তখন তারা বিএনপি’র নেতা সালাহ উদ্দিনের সাথে আতাঁত করে,আমাকে মনোনয় না পাওয়ার ষড়যন্ত্র নেমেছেন।তারা চাই নিজে বাঁচলে বাপের নাম।তারই ধারাবাহিতায় স্বার্থ হাছিলের উদ্দেশ্য এই আসনে নৌকাকে ডুবিয়ে,ধানের শীর্ষকে বলিয়ান করা।তাই ওরা এগার জন মিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা,অপপ্রচার নেমেছেন।তাদের উদ্দেশ্য একটাই আমাকে ঘায়েল করে,নৌকাকে ডুবানো।এসব ষড়যন্ত্র বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জানা আছে।
ওরা প্রচার করেছেন-সিস্টেম কমপ্লেক্স আমার মালিকাধিন।আমার ছেলে স্টুডেন্ট ভিসা মালয়েশিয়াতে পড়া শোনা করছেন।সে নাকি সেখানে বাড়ী করছেন,টাকা পাচার করছেন,আমি জবরদখল করি।এসব হিসাব আমি দিতে সর্বদা প্রস্তুত।কেউ যদি এসবের প্রমাণ দিতে পারেন।তাহলে আমি স্বইচ্ছায় সংসদ পদ আর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করবো বলে প্রশ্ন ছুঁটে দিলেন।
এই অঞ্চলের মানুষ জানেন-চকরিয়া-পেকুয়াতে কে বা কারা বালু উত্তোলনের নামে ভূমি দখল,বনসম্পদ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন।যারা দলের স্বার্থে কাজ করেনা।ব্যক্তি বা নিজ স্বার্থে চাকরি বাণিজ্য,পদপদবী বাণিজ্যের মাধ্যমে কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন।ওরা এগারজনই আজ আজ দলের বিষপোড়ন,খন্দকার মোস্তাক।এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ডজন-ডজন মামলা মোকদ্দমা রয়েছেন।এখন তারা দল থেকে বিমূখ হয়ে বিএনপি’র এজেন্ট হিসাবে উদ্ভট মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে,সুসংগঠিত আ’লীগকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করতে উঠে-পড়ে লেগেছে।সবকিছু খবর নিয়ে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে,নির্বাচন করবো,না হয় করবো না,তবুও খন্দকার মোস্তাকের কাতারে দাঁড়িয়ে আ’লীগকে ধ্বংস করার রাজনৈতিক করবো না।

সংবাদ সম্মেলনে চকরিয়া উপজেলা আ’লীগ,পৌর-আ’লীগ,পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ,মাতামূহুরী সাংগঠনিক আ’লীগের নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ আ’লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ও সাংবাদিকরা উপস্হিত ছিলেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর