বিডি প্রতিবেদক :
শিক্ষা শুধু জাতীর মেরুদন্ড নয়, শিক্ষা মানুষকে মানবিক হতে সাহায্য করে। শিক্ষার মাধ্যমে দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষা প্রদান যিনি করেন তিনি শুধু শিক্ষক নয়, তিনি মানুষ গড়ার কারিগর। স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা’র উদ্যোগে সোনারপাড়া রেজুখালস্থ সৈকত লার্নিং সেন্টারে আয়োজিত বার্ষিক শিক্ষক সমাবেশে বক্তাগণ উপরোক্ত মতামত প্রদান করেন। ইপসা’র এডুকেশন ইন ইমারজেন্সী (ইআইই) প্রোগ্রামের প্রায় ২ শতাধিক বাংলাদেশী শিক্ষক এবং উক্ত প্রোগ্রামে কর্মরত প্রায় শতাধিক কর্মকর্তার অংশগ্রহনে আয়োজিত উক্ত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব মোহামম্মদ মিজানুর রহমান। ইপসা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী মো: আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আমীর নাসরুল্লাহ, আরআরআরসি অফিসের সিনিয়র সহকারী সচিব আরিফ ফয়সাল খান, দৈনিক পূর্বকোণ’র সহকারী সম্পাদক আবসার মাহফুজ, কলামিস্ট মুসা খান, সিনিয়র ডিরেক্টর সিসেমি ওয়ার্কশপ তালাত মাহমুদ, সেভ দ্য চিলড্রেন এডুকেশন ইন ইমাজেন্সী প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার খান মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রমূখ। অংশগ্রহনকারী সকল অতিথিবৃন্দ ইপসা’কে মানবিক সহায়তায় সবসময় অসামান্য অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। উক্ত শিক্ষক সমাবেশে অংশগ্রহনকারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ইপসা’র রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রামের প্রধান ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। উক্ত শিক্ষক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার যীশু বড়–য়া, ইপসা কক্সবাজারের ফোকাল পার্সন মোহাম্মদ হারুন, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর নাজমুল বরাত রনি, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ওবাইদুল হক শামীম, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মাসুদ রহমান। এখানে উল্লেখ্য যে, ইপসা ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত যুব বর্ষে প্রতিষ্ঠা লাভ করে প্রায় ৩ যুগের অধিক কাল ধরে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। ইপসা ২০০১ সাল থেকে কক্সবাজারে বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (এফডিএমএন) বা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ক্ষতিগ্রস্থ হোস্ট কমিউনিটিতে বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।