আহসান সুমন :
১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ পরিবারের সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তারা বলেছেন, সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে খুনিচক্র দেশের অগ্রগতি এবং জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ওপর কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি বিল’ চাপিয়ে খুনিচক্রের সামরিক সরকার এ ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল খুনি জিয়া।
২১ বছর সংগ্রাম শেষে ১৯৯৬-এ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন এবং ‘ইনডেমনিটি বিল’ সংবিধান থেকে অপসারণ করে। প্রচলিত আইনে একজন বিচারপ্রার্থী বিধানানুযায়ী যে সুবিধাদি পান, সেভাবেই চলে বিচারিক প্রক্রিয়াটি। দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে বিজ্ঞ আদালত খুনিদের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। যে রায়ে খুনি জিয়া বেঁচে থাকলে নিশ্চিত ফাঁসি হতো। ২০০১-এ বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে বিচারের রায় অকার্যকর ও খুনিচক্রকে রক্ষা করতে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে।
এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ রাজপথে-সংসদে সংগ্রামের মাধ্যমে ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে গণরায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। ফলে খুনিচক্রের দণ্ডাদেশ কার্যকরের পথ অর্গলমুক্ত ও দীর্ঘ বছর পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করে বাঙালির ইতিহাস কলঙ্কমুক্ত হয়। তাই সকল নেতাকর্মীর প্রতি শোককে শক্তিতে পরিনত করার আহবান জানানো হয়।
সোমবার বিকেলে শহরের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আবদুল খালেক, মাহবুবুল হক মুকুল, ইউনুচ বাঙ্গালী, কাজী মোস্তাক আহমেদ শামীম, এটিএম জিয়া উদ্দিন জিয়া, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি রহিম উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আনিসুল হক চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এড. একরামুল হুদা, এড. রবিউল এহসান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা আক্তার রুমানা, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, নুরুল আবছার, এড. বদিউল আলম, আজিজুর রহমান, কামাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এড. মমতাজ আহমদ, এড. তাপস রক্ষিত, এড. আয়াছুর রহমান, আবুল মনছুর চৌধুরী, খোরশেদ কুতুবী, জিএম আবুল কাশেম, ড. নুরুল আবছার, এড. নাছরিন ছিদ্দিকী লীনা, মোহাম্মদ মহীদুল্লাহ, ফরহাদ ইকবাল, আহসান সুমন, প্রভাষক রোমেনা আকতার, জেলা বঙ্গবন্ধু আইনজীবি পরিষদের সদস্য সচিব এড. জিয়াউদ্দিন আহমদ, জেলা যুবলীগ নেতা জাহিদ ইফতেখার, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম কালু, জেলা মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল কান্তি দাশ, আয়েশা সিরাজ, লুৎফুন নাহার বাপ্পী, সাবেক ছাত্রনেতা মোর্শেদ হোসাইন তানিম, মক্কা প্রবাসী কমিউনিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকের উল্লাহ শাহেদ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম নেওয়াজ, এবি ছিদ্দিক খোকন, গিয়াস উদ্দিন, ওলামা লীগের সভাপতি নুরুল আলম সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দিন, কায়সার চৌধুরী মুন্না, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক মনিরসহ আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।