বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের নাজিরেরটেক উপকূলে একটি ট্রলার থেকে ১০টি জলদস্যু উদ্ধারের ঘটনায় বহুল আলোচিত জলদস্যু নেতা খায়রুল বাশার সুমন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে সুমনকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (গোয়েন্দা) দুর্জয় বিশ্বাস।
তিনি জানান, আটকের পর সুমনকে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়।
“২৩ এপ্রিল দশটি লাশ উদ্ধারের পর, সুমন আত্মগোপনে চলে যায়। তারপর নিজের পরিচয় গোপন করতে মুখে দাড়ি রেখে ছদ্মবেশ ধারণ করে। অবশেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়,” যোগ করেন তিনি।
খায়রুল বাশার সুমন মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে।
প্রথম দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের একজন ছিলেন সুমন।
এর আগে ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান নাম না জানা একটি ট্রলার নাজিরারটেকে নিয়ে আসে। ওই ট্রলারের ফ্রিজার থেকে দশজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই আটজনের মধ্যে ছয়জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (গোয়েন্দা) দুর্জয় বিশ্বাস জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করেছে যে, সে ৭ এপ্রিল অস্ত্র ও টাকাসহ ১২ থেকে ১৩ জনের একটি দলকে সমুদ্রে পাঠিয়েছিল। . এর নেতৃত্বে ছিলেন এ ঘটনায় নিহত ট্রলারের মালিক শামসুল আলম মাঝি।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন বলেন, ‘আমি তাদের ডাকাতি করতে পাঠিয়েছিলাম, মরতে নয়।’
রিমান্ডের আবেদন করে সুমনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।