
ফরিদুল আলম দেওয়ান- মহেশখালী :
কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী,
কাঁদলেন এমপি আশেক-
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য চলাকালে এক পর্যায়ে তিনি স্থানীয় তরুণ সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিককে অনেকটা ছেলেকে ডাকার মতো “এই আশেক তুমি ওই দিকে কোথায় যাও, আমার পাশে দাড়াও” বলে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড় করিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন, ওনার বাবাকে আমি চিনতাম, উনি একটি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, আপনাদের সাংসদ খুব ব্রিলিয়ান্ট ভালো মানুষ, তাকে আপনাদের কাছে দিয়ে গেলাম। এ কথা বলে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কালে বুক চেপে ধরে ছাপা কান্নায় জড়োসড় হয়ে গেলেন সাংসদ আশিক উল্লাহ রফিক। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেও ৭৫ এর ১৫ আগস্ট মা-বাবা হারানোর কথা বলে বক্তব্য চালাকালে দুজনেই চাপা কান্না করলেন।
(২) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এর নেতাকর্মীদের হাজিরা ডাকা–
————————————–
আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম এর বক্তব্যটি ছিল ভিন্ন স্টাইলের। মঞ্চের সামনে বিশাল প্যান্ডেলে বিভিন্ন রঙের টুপি গেঞ্জি পড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে যুবলীগের নেতাদের পিছনে কর্মীরা এসেছিল। তিনি কোন নেতার পিছনে কি পরিমান কর্মী সমর্থক রয়েছে বা কোন উপজেলা থেকে কি পরিমাণ কর্মী এসেছে তা জানতে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার নাম ধরে ডেকে কর্মী সমর্থকদের হাত তুলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় অনেক নেতা কর্মীরা বলতে শোনা গেছে এ যেন তাদের হাজিরা ঢাকা হচ্ছে।
(৩) কেউ বললো না সেতুর কথা-
মহেশখালীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে প্রধান দাবি উঠছিল মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দুটি উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলার ৫ লাখ মানুষ নদী পারাপার করে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে মহেশখালী টু কক্সবাজার নদীপথে মহেশখালী চ্যানেলের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জনসভায় কোন নেতাকর্মী তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সেতুর দাবির পক্ষে কেউ বক্তব্য রাখেনি। তাই জনসভায় উপস্থিত হাজার হাজার লোকজন বলতে থাকে সেতুর কথা কেউ বলেনি।
(৪) গোধূলি লগ্নে হেলিকপ্টারে আকাশ থেকে সমুদ্র বন্দর দেখলেন প্রধানমন্ত্রী-
বর্তমান সরকারের মেয়াদের একেবারে শেষের দিকে মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল ও কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সমাবেশ শেষে ৪টি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে গোধূলি লগ্নে প্রধানমন্ত্রী যখন চলে যাওয়ার জন্য আকাশে উড়লেন তিনি তখন হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরে ঘুরে পাশাপাশি স্থাপিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল এবং এলএনজি টার্মিনাল ঘুরে ঘুরে দেখলেন।