বিডি প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য রাখা এবং সাংগঠনিক শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে এমপি জাফর আলমকে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেয় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।
একইসাথে তাঁকে দল থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবেনা সেটি জানতে চেয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ বরাবরে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
অন্যথায় জাফর আলমকে দল থেকে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবরে সুপারিশ করবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।
সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
মঙ্গলবার কক্সবাজার ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাফর আলম মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় পেকুয়ায় নিজের নির্বাচনী কার্যালয় এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে অনেকগুলো বক্তব্য রেখেছেন। এগুলো নিয়ে বুধবার সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারের পর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
তবে সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লিখেছেন, পেকুয়ায় নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনকালে প্রদত্ত একটি বক্তব্যের খন্ডিত অংশ বিশেষ প্রচার করে আমার বক্তব্যকে একটি মহল বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
পুরো বক্তব্য শুনলে বুঝা যাবে, আমি সেই বক্তব্যে আবেগতাড়িত হয়ে মমতাময়ী নেত্রীর প্রতি আমার আনুগত্যের কথা তুলি ধরেছি।
একই সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্য কাজ করেও মনোনয়ন না পাওয়ার বেদনা উপস্থিত সহযোদ্ধাদের সাথে শেয়ার করি।
তাছাড়া যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সয়ং সতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন সেখানে কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি কর্তৃক আমার সহযোদ্ধাদের উপর অব্যাহত চাপের কথা উল্লেখ করি।
কিন্তু একটি চিহ্নিত মহল আমার আবেগ তাড়িত ব্যক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করে সংবাদ উপস্থাপন করছে। যা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।
আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই মমতাময়ী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার একমাত্র রাজনৈতিক অভিভাবক। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রশ্নাতীত। জোট সরকার আমলে দীর্ঘ ২৭ মাসের জেল জুলুমও আমাকে তাঁর আদর্শ থেকে একবিন্দু টলাতে পারেনি।
নেত্রীর নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবেই আমি এই আবেগ অনুভূতি ব্যক্ত করেছি। একজন ভগ্ন হৃদয়ের রাজনৈতিক কর্মীর আবেগ তাড়িত বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করা খুবই হীনমানসিকতার পরিচায়ক।
আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েই এই অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে মনে করি। একই সাথে এমন অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে জাফর আলম কে অব্যাহতি দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এমপি জাফর আলমের পুত্র ও কক্সবাজার ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন তার ফেসবুকে লিখেছেন,
যার জন্য তিনি জীবন বাজি রেখে রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন তাকে তিনি কখনো ছোট করতে পারেন না। তিনি নেত্রীকে মা মনে করেন। মায়ের প্রতি সন্তানের আবেগীয় অভিমানী বক্তব্য কখনো অসৌজন্যমূলক হয় না। তাতে কখনো কালিমা থাকে না।
হায় রে রাজনীতি, আবেগ বুঝে না..
দিনশেষে সত্যেরই জয় হবে, ইনশাআল্লাহ্..