চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে আসামী করে মামলা

নিউজ রুম / ৩৩ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে আসামী করে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার ৮ জনের মধ্যে ৪ জন ঘটনায় জড়িত বলে শনাক্ত করেছে ভুক্তভোগী কিশোরী। দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া।
ওসি জানান, ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত সোমবার ৩ জন ও গতকাল ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে ৪ জনকে যেহেতু ভুক্তভোগী কিশোরী শনাক্ত করেছে, তাদের নামও এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অপর ৪ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে একই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
তবে ভুক্তভোগী কিশোরী কোন ৪ জনকে শনাক্ত করেছে সে সম্পর্কে এখনই কোন তথ্য দিতে রাজি হননি ওসি।
গ্রেপ্তারদের মেধ্যে ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। অপরজনের নাম তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেননি ওসি। যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হল, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩) এবং একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালীর বাজারপাড়ার জিয়বুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের ছেলে সজীব (২৫), টুটিয়াপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে ছোটন (২৫), দাতিনাখালী আবু ছাহের ছেলে অমিত হাসান (২৫)।
ভূক্তভোগী কিশোরী (১৫) মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা।
মনজুর কাদের জানান, ‘ভূক্তভোগী কিশোরী কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহনের পর বাড়িতে ফিরেছেন।
ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাস যোগে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী স্টেশনে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে মহেশখালীর গ্রামের বাড়ী ফিরতে বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিল। এসময় দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে তুলে পার্শ্ববর্তী প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে ৮ জন যুবক মিলে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
এদিকে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার বদরখালী স্টেশন, চকরিয়া উপজেলা সদর এবং কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর