সাকলাইন আলিফঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর কমপক্ষে ৩০ টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে এসব বালু উত্তোলনের ফলে নদীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত গভীর হয়ে পড়ায় ভাঙন হচ্ছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ওইসব স্থানে ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টরের সারিবদ্ধভাবে আনা-নেয়ার লম্বা লাইন দেখে যে কারো মনে হবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে।
আর যত্রতত্র ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট ও বাঁধ নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে অন্যদিকে ধুলা স্তুপ পড়ে গেছে। এসব ধুলার কারণে বাসা-বাড়িতে থাকার অযোগ্য পরিবেশ হয়ে পড়েছে। অনেকেই এসব ধুলা বালির মধ্যে চলাচল করায় নানা ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শক্তিশালী ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে এসব বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কোনো কোনো পয়েন্টে অস্থায়ী ভাসমান বেইসের উপর শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালু ফসলি জমির উপর স্থাপন করে রাখায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বালু খেকোদের অব্যাহত অপতৎপরতায় নদীর স্বাভাবিক গতি বিঘ্নিত হয়ে পড়ছে। কোনো কোনো জায়গায় সৃষ্টি হচ্ছে চোরাবালি। ফলে নদীর দু’পাড়ে ভাঙন তীব্রতর রুপ ধারণ করেছে। তাছাড়া ফসলি জমির উপর বালু রাখার ফলে ধান ও সবজি আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
নদীর অববাহিকার হারবাং,কাকারা,মানিকপুর,বরইতলী পহরচাঁদা,শিকলঘাট, বাটাখালী, করাইয়াঘোনা, পালাকাটা, বাঘগুজারা, কোনাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩০ টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন চলছে।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানান, চলতি মাসে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলন ও পরিবহণে নিয়োজিত ট্রাকসহ
সরঞ্জামাদি জব্দ ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখা হবে।