রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা কার্যক্রম আবারও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ডা. মোস্তফা-হাজেরা ফাউন্ডেশন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম সমুহের তথ্য সংগ্রহ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডা. মোস্তফা-হাজেরা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এ. কে. এম. গোলাম কিবরিয়া।

গতকাল কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. মোস্তফা-হাজেরা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এ. কে. এম. গোলাম কিবরিয়া জানান, তাদের ‘গ্লোবাল ফাইভ জিরো ক্যাম্পেইন’-এর আওতায় রোহিঙ্গা কল্যাণে একযোগে ফ্রি মেডিকেল সার্ভিস ও বিদ্যালয় পুণরায় চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফাউন্ডেশনের মেডিকেল টিম গত তিন দিনে প্রায় ৮০০ রোগীকে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করেছে। এতে ৪ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।

এছাড়া স্থানীয় শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা শিশুদের বিদ্যালয় পুনরায় চালুর রোডম্যাপ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষার ধারাবাহিকতা ফিরে আসে।
এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের প্রাক্তন পরিচালক ড. সুলতানা খানম বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ, তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে থাকুক বা বাইরে—তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। যতদিন তারা থাকবে, ততদিন তাদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে খ্যাতনামা ফটো সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এখনও নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার মতো নিরাপদ পরিবেশ পায়নি। বাংলাদেশ তাদের জন্য অনেক করেছে, তবু মানবতার দাবি—আমাদের আরও পাশে থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কেবল মানবিক নয়—এটি ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক জবাবদিহিতার প্রশ্ন। তারা মিয়ানমারের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত ও রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানান।