বিডি প্রতিবেদক :
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্নভাবে মাদক আসছে। মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আমরা মাঝে মধ্যেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করছি। বিনা কারণে আমরা রক্তপাতও দেখছি। মাঝেমধ্যে মিয়ানমার থেকে মাদকের আনাগোনাও লক্ষ্য করছি। এ সব কার্যক্রম বন্ধে আমরা তথ্যভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন শতশত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের অনেকেই খুন, অপহরণ, মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। মোবাইল ব্যবহার করে তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে সেজন্য তাদের মোবাইল ট্র্যাক করা হবে।রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। প্রত্যাবাসনের জন্য আগে থেকেই সরকার যেভাবে চেষ্টা করেছিল, এখনও সেটা অব্যাহত আছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে নিতে চায়, সেটার বিস্তারিত দিক দেখা হচ্ছে। কীভাবে নেবে এবং কতজন নেবে; সেটা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’