চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ার কোনাখালীতে ভূমিদস্যু চক্র কর্তৃক দুই প্রবাসী পরিবারের পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত ৮০ শতাংশ জায়গা জবর-দখল করে নিয়ে সেখানে রাতারাতি ধানের চারা রোপন করা হয়। এর প্রতিবাদে প্রবাসী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচীতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারীসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মরংঘোনা এলাকায় অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচীতে অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় খবর পেয়ে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন প্রবাসী শহীদুল্লাহর মামা বদর মিয়া (৫৫), প্রবাসীর স্ত্রী তছলিমা আক্তার (৪৫), তাঁর কন্যা স্কুল শিক্ষার্থী তোহফা সিদ্দিকা নিঝুম (১৬), পুত্র রিয়াদ উদ্দিন (২৫), মো. সাইফুল (২৪)।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়।’
হামলার শিকার প্রবাসী শহীদুল্লাহর স্ত্রী তছলিমা আক্তার অভিযোগ করেন- তাঁর প্রবাসী স্বামী এবং অপর প্রবাসী নোমানের মালিকানাধীন কোনাখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাখালী মৌজার ষাটদ্রোন প্লটে ৮০ শতক জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার বৈধ কাগজপত্রও রয়েছে। কিন্তু সেই জায়গা ইতোপূর্বে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জহির, আকবর, মিজান, শওকতের বিরুদ্ধে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করা হয়। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পুলিশ অভিযুক্তদের জায়গায় না যেতে বলে দিলেও অতিসম্প্রতি সেই জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে সেখানে রাতারাতি ধানের চারা রোপন করে দেয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মানববন্ধন কর্মসূচীতে হামলা এবং আহতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’