বিডি ক্রীড়া ডেস্ক :
বুধবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে তাদের বহনকারী বিমান। ফুলের শুভেচ্ছায় উষ্ণ অভ্যর্থনার পর সাড়ে তিনটার দিকে ছাদখোলা বাসে ওঠেন সাবিনা-সানজিদারা।
বিমানবন্দর থেকে বাস কৃষ্ণা-মারিয়াদের নিয়ে যাবে বাফুফে ভবনে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন কন্যাদের বরণ করবেন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটির প্রধান কাজী সালাউদ্দিন। পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হবে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা লাল-সবুজের দল।
তহুরা-রূপনাদের ছাদখোলা বাসটি কাকলি, জাহাঙ্গীর গেট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে বিজয় সরণী-তেজগাঁও-মৌচাক ঘুরে কাকরাইল যাবে। সেখান থেকে ফকিরাপুল, আরামবাগ, শাপলা চত্বর দিয়ে মতিঝিলে বাফুফে ভবনে পৌঁছবে।
সাফ ফাইনালের আগে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছিলেন সানজিদা আক্তার। দলের মিডফিল্ড তারকা লিখেছিলেন, ছাদখোলা বাসে শিরোপা উঁচিয়ে না ধরতে পারলেও তাদের সহযোগিতা করা মানুষদের জন্য জিততে চান। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সানজিদার আশা পূরণ হয়েছে। ছাদখোলা বাসে হাত নাড়িয়ে, শিরোপা উঁচিয়ে এবার তারা বাফুফের পথে।
এর আগে, দেশে পৌঁছানোর পর উৎসুক জনতার স্রোতের মুখে পড়ে চ্যাম্পিয়নরা। বিমানবন্দরে তাদের বরণ করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ক্রীড়া সচিব, বাফুফের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। সেখানে কেক কাটা হয়, মিষ্টিমুখ করানো হয় সাবিনাদের।
সাবিনাদের জায়গা করে দিতে জনতার ঢলের মুখে পুলিশকে একটু কঠোর হতে হয়েছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিকদের সাথেও নিরাপত্তাকর্মীদের এসময় মৃদু ধাক্কাধাক্কি হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর সানজিদারা ছাদখোলা বাসে উঠতে পারেন।