বিডি ডেস্ক :
বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ দুই যুগে পদার্পণ করেছে। ২৪ বছরে পদার্পণ উদযাপনে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে চ্যানেল আই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণিল ক্ষণে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
চ্যানেল আইয়ের জন্মদিন মানেই প্রধান প্রধান সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলো পুরো পৃষ্ঠা রঙিন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
ক্রোড়পত্রে দেশের প্রথম ডিজিটাল চ্যানেলের ২৪ বছরে পদার্পণে দর্শকশ্রোতা, কলাকুশলি ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন: প্রতিষ্ঠার পর হতে চ্যানেল আই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করে আসছে। দেশের কৃষি উন্নয়ন তথা গ্রামনির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অগ্রযাত্রায় চ্যানেল আই এর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। এছাড়া পরিবেশ ও প্রকৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নেও চ্যানেলটি কাজ করে যাচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, নির্মল বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে চ্যানেল আই অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করছি। আমি চ্যানেল আই এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন: তথ্য প্রযুক্তির যুগে টেলিভিশনকে শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখলে চলবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এবং দেশজ শিল্প সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠনে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ নানা অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে অবদান রাখতে হবে। আজ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশের যে উত্তরণ, সেই গৌরব অর্জনে গণমাধ্যম আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযাত্রী। সরকারের ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে ‘চ্যানেল আই’ অব্যাহত সমর্থন রাখবে এ প্রত্যাশা করি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন: বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। সেক্ষেত্রে চ্যানেল আই এগিয়ে রয়েছে। তাদের সংবাদ পরিবেশনায় রয়েছে বস্তুনিষ্ঠতা এবং আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল অনুষ্ঠান সম্প্রচারও তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সঙ্গে টেলিভিশন এখন মুহূর্তের মধ্যে সারাবিশ্বকে তুলে ধরছে। চ্যানেল আই সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের এই ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা রইল।
ক্রোড়পত্রে ‘চ্যানেল আই আমার প্রিয় চ্যানেল’ শিরোনামে বিশেষ নিবন্ধ লেখেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। তিনি লেখেন: চ্যানেল আই বাংলাদেশের টেলিভিশন-সংস্কৃতি বিকাশের একটি উজ্জ্বল নাম। শত বৈচিত্র্য নিয়ে স্বদেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে ফরিদুর রেজা সাগরের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় নিরন্তর পথ হাঁটছে চ্যানেল আই। ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজের চিন্তা, ভাবনা ও রুচির প্রতিফলন ঘটিয়ে চ্যানেল আই’র পর্দাকে আনন্দময় ও তথ্যবহুল করতে যে কর্মী ও কর্মকর্তাগণ দশকের পর দশক পরিশ্রম করছেন তাদেরকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। যতদিন বাংলাদেশ তত দিন লাল সবুজের চ্যানেল আই। জয় হোক চ্যানেল আই’র।
চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদের ৭ সদস্যের পক্ষ থেকে দর্শকশ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। ২৩ বছরের মতো আগামীর দিনগুলোতে সারা পৃথিবীর কোটি কোটি বাঙালির সৃজনশীল কাজের সাথে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন তারা।