শিরোনাম :
দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন কক্সবাজার সৈকতে পেকুয়ায় নিহত স্কুল শিক্ষক আরিফের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল পেকুয়ায় নিখোঁজের ১৪ দিন পর স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আহত জেলেদের ফেরত আনা নিয়ে যেসব তথ্য জানালেন কোস্টগার্ড বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও দুর্গাপূজায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার মিয়ানমারের চেয়ে ভালোভাবে পূজা করতে পারছে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুরা পরিবেশ সম্মত আধুনিক পর্যটন শিল্প গঠন করে কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে-তাহলে বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসবে পেকুয়ায় শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপে সর্তক অবস্থানে র‍্যাব,আইনশৃঙ্খলা সুমন্নত রাখা হবে : এ এসপি র‍্যাব ১৫ মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত

সৈকতে দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জন

নিউজ রুম / ২৩ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার পর্যটক আর ভক্ত পূজারীদের উপস্থিতিতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ দৃশ্য অবলোকন করে সৈকতে আগত পর্যটকরা। নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৈকতে ২ শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা শেষে দশমীর পর বুধবার ছিল শুভ বিজয়া বা বিসর্জন।

বিসর্জন উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে মন্দিরগুলোতে বিরহের সুর বাধতে থাকে। কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু উজ্জ্বল কর জানান, পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী দুপুরের পর থেকে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একে একে প্রতিমা গুলো সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে জড়ো হতে থাকে। এরপর সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হয় বিসর্জন অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক,বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বার, পুলিশ পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেনটু দাশ।
বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত প্রতিমা গুলো জমা য়েত হয়ে যায়। বিকেল পাঁচটা দশ মিনিটের দিকে মঞ্চ থেকে কক্সবাজার শহরের সরস্বতী বাড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত স্বপন ভট্টাচার্য বিসর্জন মন্ত্র পাঠ করেন। এরপর আরতি দিয়ে একে একে প্রতিমা গুলো সৈকতে বিসর্জন দেন পূজারী ভক্তরা।
সৈকতে বিসর্জন দেখতে আসা নারায়ণগঞ্জের পর্যটক গোবিন্দ রায় বলেন, পরিবার নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বৃহৎ বিসর্জন দেখতে আসলাম। এ দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগছে। চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আসা মহসিন বলেন, এই প্রথমবার বিসর্জনের সময় কক্সবাজার সৈকতে আসলাম বিসর্জনের দৃশ্য আর ভক্তদের উপস্থিতি খুবই ভালো লাগছে।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল কর জানান, সৈকতে এবার ২ শতাধিক ছোট বড় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বার বলেন, দুর্গাপূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজওনের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, সৈকতে আগত পর্যটক আর বিসর্জন উপলক্ষে আমরাও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজার একটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। তাই সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো একটি বিসর্জন অনুষ্ঠান আমরা সম্পন্ন করতে পারলাম।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর