বিডি প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার পর্যটক আর ভক্ত পূজারীদের উপস্থিতিতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ দৃশ্য অবলোকন করে সৈকতে আগত পর্যটকরা। নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৈকতে ২ শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা শেষে দশমীর পর বুধবার ছিল শুভ বিজয়া বা বিসর্জন।
বিসর্জন উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে মন্দিরগুলোতে বিরহের সুর বাধতে থাকে। কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু উজ্জ্বল কর জানান, পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী দুপুরের পর থেকে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একে একে প্রতিমা গুলো সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে জড়ো হতে থাকে। এরপর সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হয় বিসর্জন অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক,বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বার, পুলিশ পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেনটু দাশ।
বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত প্রতিমা গুলো জমা য়েত হয়ে যায়। বিকেল পাঁচটা দশ মিনিটের দিকে মঞ্চ থেকে কক্সবাজার শহরের সরস্বতী বাড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত স্বপন ভট্টাচার্য বিসর্জন মন্ত্র পাঠ করেন। এরপর আরতি দিয়ে একে একে প্রতিমা গুলো সৈকতে বিসর্জন দেন পূজারী ভক্তরা।
সৈকতে বিসর্জন দেখতে আসা নারায়ণগঞ্জের পর্যটক গোবিন্দ রায় বলেন, পরিবার নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বৃহৎ বিসর্জন দেখতে আসলাম। এ দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগছে। চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আসা মহসিন বলেন, এই প্রথমবার বিসর্জনের সময় কক্সবাজার সৈকতে আসলাম বিসর্জনের দৃশ্য আর ভক্তদের উপস্থিতি খুবই ভালো লাগছে।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল কর জানান, সৈকতে এবার ২ শতাধিক ছোট বড় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম বার বলেন, দুর্গাপূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজওনের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, সৈকতে আগত পর্যটক আর বিসর্জন উপলক্ষে আমরাও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজার একটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। তাই সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো একটি বিসর্জন অনুষ্ঠান আমরা সম্পন্ন করতে পারলাম।