শিরোনাম :
শিল্পায়নে উদ্বাস্ত হচ্ছে লবণ ও পান চাষী : হুমকিতে খাদ্য নিরাপত্তা মহেশখালী কলেজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন ছাত্র ও অভিভাবকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত, মহেশখালীর কালারমারছড়ার জলদস্যু সরদার হাসান নুরী গ্রেফতার কক্সবাজারে ট্যুরিজম এন্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ইসলামী শ্রমনীতি ব্যতীত শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়-আব্দুল্লাহ আল ফারুক ছাত্র জনতার বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয় সুচিত- মুহাম্মদ শাহজাহান পেকুয়ায় বিরোধীয় জায়গায় স্হাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে হামলাঃ আহত ৬ কৈয়ারবিল ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানি অভিযোগ কক্সবাজার শিশু সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম এর সাধারণ সভা আজ সে ভয়াল ২৯ এপ্রিল:উপকূলবাসীর স্বজন হারানোর দিন

রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলা আদালতের কাঠগড়ায় স্বাক্ষীকে হুমকি দিলেন আসামি

নিউজ রুম / ৯১ বার পড়ছে
আপলোড : বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

চৌধুরী আবরার :
রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আরো দুই জন প্রত্যক্ষদর্শি স্বাক্ষী নুরে আলম ও হামিদ মাঝি আদালতে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। স্বাক্ষ্যদানকালে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকা এক আসামি নুরে আলম নামে এক স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালতের বিচারক সংশ্লিষ্ট আসামি ও তার আইনজীবীকে সতর্ক করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তারা স্বাক্ষ্য দানকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গত দুদিনে এই মামলায় তিন জন স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষ্য দিলেন। গতকাল সোমবার এই মামলার বাদী ও এক নাম্বার স্বাক্ষী নিহত মুহিব্বুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবউল্লাহ স্বাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
১ নভেম্বর সকাল ১১ টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন এর আদালতে দুই জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্যগ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। স্বাক্ষী দুই জন হচ্ছে হামিদ মাঝি এবং নুরে আলম। তার দু’জনই মুহিব্বুল্লাহ হত্যামামলার প্রত্যক্ষদর্শি স্বাক্ষী বলে জানিয়েছেন তিনি। পিপি জানান স্বাক্ষ্যদাকালে দুজনই আদালতে জানিয়েছে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহকে কিভাবে হত্যা করেছে কারা গুলি করে। আদালতে তারা এই হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করেন। স্বাক্ষ্যদানকালে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকা এক আসামি স্বাক্ষী নুরে আলমকে হাতের ইশারায় হত্যার হুমকি দেন। সাথে সাথে তিনি বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালতের বিচারক আসামি ও তার আইনজীবীকে সতর্ক করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী আরো জানান, আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৪ আসামিকে আদালতে আনা হয়। তাদের উপস্থিতিতে নেয়া হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

গতকাল সোমবার স্বাক্ষদানকালে মামলার বাদি হাবিবউল্লাহ আদালতে জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্ত্যুচুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালন করায় সন্ত্রাসীদের এক গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভাইকে হত্যা করেছে। রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে এ জন্য তিনি ক্যাম্পে ক্যাম্পে আন্দোলন শুরু করেন। রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্বদেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও নানা দাবি তুলেছিলেন তিনি।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকদারিদের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকান্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এতে সাত জনের নাম ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আবেদন জানান তদন্তকারি কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে। আদালত শুনানী শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। ওইদিন আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য ছিল।

বর্তমানে মুহিবুল্লাহ’র পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর