জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় রাস্তা নির্মাণের নামে এমইউপি শওকত ওসমান ও সহযোগি নাছির কোম্পানির বিরুদ্ধে মাটি বিক্রির অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী।
এমন দৃশ্যটি উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মছনিয়াকাটা মুরারপাড়া এলাকা দেখা যায়।স্হানীয়দের দাবী, অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ্যে দিবালোকে বিশাল পাহাড় কাটা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর,বনবিভাগ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্হা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরইতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মছনিয়াকাটা মুরারপাড়া এলাকায় স্ক্যাভেটর ব্যবহার মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের নামে ইতিমধ্যে বিশাল পাহাড়টি কেটে ফেলা হয়েছে।
এবিষয়ে এমইউপি শওকত ওসমান বলেন,জনগণের সুবিধার্থে রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড়টির কিছু অংশ কাটা হচ্ছে।বিষয়টি বনবিভাগ ও প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।এতে আরো কিছু কাজ বাকী আছে।এটি শেষ হলেই এলজিডির মাধ্যমে ব্রিক সলিংয়ের রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
একই বিষয়ে সহযোগি স্ক্যাভেটরের মালিক নাসির কোম্পানির বলেন,রাস্তা নির্মাণের স্বার্থে পাহাড়ের কিছু অংশের মাটি কাটতে হচ্ছে।তবে কাটা অংশ পাহাড়ের গাছগুলো আমরা কাটিনি।আগে গাছগুলো কেটে ফেলেছে।একথা বনবিভাগ ভাল জানবে।এছাড়া পাহাড় কাটার মাটিগুলো রাখার জন্য জায়গা না থাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কাজটি এমইউপি শওকত ওসমান আর আমি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি বলেন, রাস্তা নির্মাণের নামে পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ।এটি তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের সাইনবোর্ড ছাড়া আর কিছু নয়।এছাড়া তাদের মূল উদ্দেশ্য রাস্তা নির্মাণ নয়,কেবল মাটি বিক্রিতে নিজের ফায়দা লুণ্ঠন।
এবিষয়ে পহরচাঁদা বনবিট কর্মকর্তা শাহা আলম বলেন,পাহাড় কাটার বিষয়ে তিনি অবগত নন।তবে এখন যেহেতু জেনেছি,সরেজমিনে গিয়েই পাহাড় কর্তনের সত্যতা নিরুপনের মাধ্যমে অবশ্যই আইনী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
একই বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জ-কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন,পহরচাঁদায় পাহাড় কাটা হচ্ছে শোনালাম মাত্র।শোনা মাত্রই সংশ্লিষ্ট বিটকর্মকর্তাকে পাহাড় কাটা বন্ধ করা সহ আইনগত ব্যবস্হা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিট-কর্মকর্তা জানে না,রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড় কাটা কথা শোনে বন্ধ ও আইনী ব্যবস্হার নির্দেশ দেন।দুই কর্মকর্তার দু’ধরণের বক্তব্যে জেনে রহস্যজনক মনে হয়!
এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, পাহাড় কাটার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।