এহসান আল কুতুবী :
“শিরায় শিরায় রক্ত, আর্জেন্টিনার ভক্ত”, “দেশি আর বিদেশি, আমরা সবাই মেসি” এভাবে বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে সৈকত শহর কক্সবাজারের রাজপথ। পর্যটন শহরের অলিগলী থেকে শুরুকরে সমূদ্র সৈকত পর্যন্ত আর্জেন্টাইন ভক্তদের দখলে চলেযায়।
গতকাল সোমবার দুপুর দুইটায় শহরের বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে এ জমায়েত হয় ১০ হাজারের বেশি আর্জেন্টাইন সমর্থক। নেচে-গেয়ে উল্লাস করে মেসি-ডিমারিয়ার সমর্থকেরা।
দুপুর সাড়ে ৩ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠ থেকে বিশাল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রায় পায়ে হেটে, কয়েক হাজার মোটরসাইকেল, পাজেরো জিপ, কার, পিক-আপে করে আকাশি – সাদা পোশাক পড়া সহশ্রাধিক আর্জেন্টাইন সমর্থক অংশ নেয় ।
এ সময় সবার গায়ে ছিলো বিশাল বিশাল সাইজের আর্জেন্টিনার পতাকা, প্রিয় খেলোয়াড় মেসিসহ বিভিন্ন খেলোয়াড়দের ফ্যাস্টুন।
পরে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে সুগন্ধা পয়েন্ট দিয়ে সমুদ্র সৈকত প্রবেশ করে। সৈকতের বালিয়াড়িতে উল্লাস করে লাবনী পয়েন্টে গিয়ে নেচে গেয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়।
সমাপনী বক্তব্যে উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ম্যারাডোনা শৈল্পিক ফুটবল খেলার জনক। তার উত্তরসূরী হিসেবে মেসির শৈল্পিক খেলার কারনে সারাবিশ্বে এখনো পর্যন্ত মেসির বিকল্প সৃষ্টি হয়নি। এবার মেসির শেষ বিশ্বকাপ খেলা হিসেবে আমাদের আশা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে আর্জেন্টিনা৷
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, সুদূর উখিয়ার ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে আর্জেন্টাইন সমর্থক হিসেবে মিলনমেলায় অংশ গ্রহনের অনন্য কারন হলো প্রিয় দলকে শুভকামনা জানানো। তিনি বলেন, আজকের আনন্দ উৎসব বিশ্বকাপ জেতার মধ্য দিয়ে প্রমান হবে।
শুধু মেসিকে ভালোবাসার আবেগের প্রমাণ দিতে সূদুর টেকনাফ থেকে ছুটে এসেছেন কয়েকশো নেতাকর্মী। সারাবিশ্বের মেসি ভক্তদের আবেগ, ভালোবাসা ও দোয়ায় এবার আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে বললেন টেকনাফ আর্জেন্টিনা সমর্থক গোষ্ঠীর প্রধান তারেক মাহমুদ রনি। তিনি বলেন, ভালোবাসা ছাড়া যেমন বিশ্ব জয় সম্ভব নয়, তেমনি আবেগ ছাড়াও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ সম্ভব নয়। দুটোই আর্জেন্টিনা ও মেসির জন্য উজাড় করে দিতে মিলনমেলায় অংশ নিয়েছি।
এর আগে শোভাযাত্রার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্জেন্টিনার ডাই হার্ড ফ্যান আবুল বশর বাবু, সরওয়ার রুম্মান, আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন, দেবাশীষ দাস দেবু, ফারুক আজম, রাসেল সরওয়ার।
পুরো আয়োজনের তত্বাবধানে ছিলেন ইনজামামুল হক, জামশেদ উদ্দিন, আয়ান মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, নাহিদুল ইসলাম রবিন, মুক্তাদিল জয়, ইউনুস খান, সাঈফ রিয়াজ, মোস্তফা কামাল রিফাত, আশেক মোস্তফা রিয়াজ, অনিক, ইমরান ও ইব্রাহিম খলিল।