শিরোনাম :
দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন কক্সবাজার সৈকতে পেকুয়ায় নিহত স্কুল শিক্ষক আরিফের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল পেকুয়ায় নিখোঁজের ১৪ দিন পর স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আহত জেলেদের ফেরত আনা নিয়ে যেসব তথ্য জানালেন কোস্টগার্ড বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও দুর্গাপূজায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার মিয়ানমারের চেয়ে ভালোভাবে পূজা করতে পারছে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা হিন্দুরা পরিবেশ সম্মত আধুনিক পর্যটন শিল্প গঠন করে কক্সবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে-তাহলে বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসবে পেকুয়ায় শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপে সর্তক অবস্থানে র‍্যাব,আইনশৃঙ্খলা সুমন্নত রাখা হবে : এ এসপি র‍্যাব ১৫ মহেশখালী ঘাটের অনিয়ম বন্ধ ও সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাতিলের দাবি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত এবং পাঁচজন আহত

সাফারি পার্কে লাফালাফি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুই অতিথি

নিউজ রুম / ২৫ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন

মুকুল কান্তি দাশ :
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দুটি ওয়াইল্ড বিষ্ট শাবকের জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে ওই শাবক দুটি অন্যান্য শাবকদের সাথে লাফালাফি করছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে পার্কে সাতটি ওয়াইল্ডি বিষ্ট রয়েছে। এর পূর্বে দুটি মাদি এবং তিনটি পুরুষ ওয়াইল্ড বিষ্ট ছিলো।
সাফারি পার্ক সুত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ সাউথ আফ্রিকা থেকে তিন বছর বয়সি ‘মারিয়া’ নামের একটি ওয়াইল্ড বিষ্ট আনা হয়। ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল সাফারি পার্কে ‘জনি’ নামের একটি ওয়াইল্ড বিষ্ট জন্ম নেয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ‘আখি’ ‘রাজিব’ এবং ‘ঝুন্টু’ নামের তিনটি ওয়াইল্ড বিষ্ট জন্ম গ্রহণ করে।
চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড বিষ্টের বেস্টনিতে দুটি শাবক জন্ম গ্রহন করে। জন্ম নেয়ার পর থেকে শাবক দুটি অন্যান্য ওয়াইল্ড বিষ্টদের সাথে লাফালাফি শুরু করে। বর্তমানে নতুন দুটি শাবকসহ পাঁচটি ওয়াইল্ড বিষ্ট রয়েছে সাফারি পার্কে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি গোপন রাখে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম দৈনিক ‘আমাদেরসময়’ বলেন, ওয়াইল্ড বিষ্ট মুলত সঙ্গবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। এই প্রাণীদের আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণ করতে দেখা যায়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর (বর্ষা মৌসুমে) মাসে তারা প্রজনন করে এবং ৮ থেকে ৯ মাস পর তারা বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় সাধারণ ১৮ থেকে ১৯ কেজি পর্যন্ত।
প্রথমে শাবকদের গায়ের রং ধূসর (টনি ব্রাউন) এবং প্রাপ্তবয়স্ক হলে নীলাভ ধূসর বর্ণ ধারণ করে। এরা বছরে একটি শাবক প্রসব করে। আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত মায়ের সাথে থাকে এবং মায়ের দুধ পান করে এবং পাশাপাশি ঘাস, ভুষি, গাজর, ভুট্টো খাই। পুরুষ বাচ্চারা দুই বছর এবং মাদি বাচ্চারা ১৬ মাস বয়সে প্রজননে সক্ষমতা অর্জন করে। এরা প্রাকৃতিক পরিবেশে ২০ বছর এবং আবদ্ধ পরিবেশে ২৪ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
তিনি আরও বলে, ওয়াইল্ড বিষ্টের শাবক সাধারণ জন্মের পরপরই উঠে দাঁড়ায় এবং দৌঁড়াতে শুরু করেন। শাবক দুটি পুরুষ নাকি মাদি তা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তাদের নিরাপত্তার কারণে কাউকে আপাতত কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। এরা আরও কয়েক মাস বযস পার হলেই তাদের কাছে যাওয়া সম্ভব হবে বলে জানান মাজহারুল ইসলাম।###


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর