শিরোনাম :
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে- টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পেকুয়া থানার নতুন ওসি মোস্তাফা’র যোগদান নারী-পুরুষ সমতা বিষয়ে শিশুদের সচেতন করতে কক্সবাজারে আরডিআরএস বাংলাদেশের নতুন প্রকল্প মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা। -মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ চিকিৎসা সেবা : রোগি শূণ্য হাসপাতাল # চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা; গ্রেপ্তার ২ কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত উখিয়ায় ককটেল মৌলভীর সাম্রাজ্যে বনবিভাগের থাবা, বনের জমি উদ্ধার বিভাজনের রাজনীতিতে পা দিলে রাস্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না–সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কক্সবাজারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফোন চুরি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন”

চট্টগ্রাম বিভাগে সেবায় দ্বিতীয় চকরিয়া ১’শ শয্যার হাসপাতাল

নিউজ রুম / ১৭ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:
এক সময় স্বাস্থ্য সেবা না দেয়া, রোগিদের সাথে খারাপ আচরণসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠতো কক্সবাজারের চকরিয়া ১’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে নিয়ে। সেসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত করে উন্নত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে গেলো কক্সবাজারের চকরিয়ার ১’শ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতাল।
সর্বশেষ রেঙ্কিংয়ে হাসপাতালটি দেশের মধ্যে ২৪তম এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া ১’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শোভন দত্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথমে ৫০ শয্যার বেড ছিলো। গত দুই বছর আগে সরকার এই হাসপাতালকে ১’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উর্ণিত করেন। ১’শ শয্যার হাসপাতালে উর্ণিত করলেও পর্যাপ্ত জনবল দেয়া হয়নি। তারপরও যে স্টাফ রয়েছে তাদের নিয়েই চালিয়ে গেছে স্বাস্থ্য সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে বদলে যায় হাসাতালের চিত্র।
এক সময় ছিলোনা এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসাউন্ড, প্রসুতি সেবাসহ অন্যান্য সেবা। এমন কি জরুরী কোন রোগির জন্য ছিলোনা অক্সিজেন প্ল্যান্ট। সেই অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি বেডে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি চালু করা হয়েছে প্রসুতি সেবা। পুরোদমে চলছে প্রসুতিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সিজারিয়ানসহ ডেলিভারির মতো কাজ। সংকট ছিলো ডাক্তার-নার্সের। পুরোপুরি সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি এই হাসপাতাল। তবুও যেসব ডাক্তার ও নার্স রয়েছে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে হাসপাতালটি এতোমধ্যে বেশ সুমান অর্জন করেছে।
আরও জানা গেছে, রোগিদের পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার জন্য প্রতি মাসে ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্ত্-াকর্মচারীদের নিয়ে সভা করেন হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা.শোভন দত্ত। তিনি প্রত্যেককে কাজের রুটিন করে দেন। এমনকি যারা সর্বোচ্চ সেবা দেন তাদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে সম্মানসুচক ক্রেস্টও প্রদান করা হয়। সেভাবেই চলে রোগিদের প্রতিদিনকার সেবা কার্যক্রম। যেকোন সময় গর্ভবতী মহিলা আসলে তাদের দ্রæত সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তত রাখা হয় একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে একদল ডাক্তার-নার্সদের।
চকরিয়া ১’শ শয্যা উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শোভন দত্ত বলেন, আমি যখন এই হাসপাতালের প্রশাসনিক দায়িত্ব নিই, তখন এই হাসপাতালটি সারাদেশে ৩৮৯তম স্থানে ছিলো। পরবর্তীতে হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে হাসপাতালের সেবার উন্নয়নে কাজ শুরু করি। এরপর এই হাসপাতাল সারাদেশের মধ্যে ১৫৬তম স্থানে চলে আসে। সর্বশেষ রেঙ্কিংয়ে সারাদেশে ২৪ তম এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয়তম স্থানে চলে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই এই রোগিদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। কোন রোগি যেন সেবা না নিয়ে ফিরে যেতে না পারে সেজন্য হাসপাতালটির সব ডাক্তার-নার্স থেকে শুরু করে সবাই সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই সেবার মান অক্ষুন্ন রাখতে। যারা এই হাসপাতালের সুনাম অর্জন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, হাসাতালের সেবার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা.মো.মহিউদ্দিন স্যার এবং কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা.মো.মাহবুবুর রহমান স্যার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। উনারা প্রতিনিয়ত হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে তদারকি করেছেন। হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থায় নিয়েছেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর