শিরোনাম :
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে- টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পেকুয়া থানার নতুন ওসি মোস্তাফা’র যোগদান নারী-পুরুষ সমতা বিষয়ে শিশুদের সচেতন করতে কক্সবাজারে আরডিআরএস বাংলাদেশের নতুন প্রকল্প মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা। -মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ চিকিৎসা সেবা : রোগি শূণ্য হাসপাতাল # চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা; গ্রেপ্তার ২ কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত উখিয়ায় ককটেল মৌলভীর সাম্রাজ্যে বনবিভাগের থাবা, বনের জমি উদ্ধার বিভাজনের রাজনীতিতে পা দিলে রাস্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না–সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কক্সবাজারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফোন চুরি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন”

ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ রুম / ১৮ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

নার্টোর প্রতিবেদক :
রাজশাহী সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় মামলা থেকে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় ছয়জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং খালাস পাওয়া ব্যক্তিসহ পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন সাব্বির হোসেন, রেজাউনুল ইসলাম, নাজমুল হক, রাজিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ রিপন ও মো. শহিদুল। এ ছাড়া মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম ও রেজাউল করিমকে যাব্বজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আনিসুর রহমান বলেন, দণ্ড পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই টাকা বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া মামলার অপর আসামি মো. নাছিরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর নাটোরের বড়াইগ্রাম এলাকার রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীকে অপহরণ করেন একই এলাকার ধানাইদহ গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সাব্বির হোসেন। পরে তাকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামের একটি হলুদের জমিতে নিয়ে সাব্বির ও তার সহযোগীরা ধর্ষণ করেন। এরপর সকালে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাড়িতে ফিরে যায়। ঘটনাটি পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই ঘটনার পরের দিন ছাত্রীর বাবা মো. গাজী বিশ্বাস বাদী হয়ে সাব্বির হোসেন ও তার ১০ জন সহযোগীর নামে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।
এ ঘটনার প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ দুপুরে এ রায় দেন। মামলায় রায়ে উল্লেখ করা হয়, জরিমানা অর্থ ভুক্তভোগী ছাত্রী পাবেন।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর