শিরোনাম :
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে- টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পেকুয়া থানার নতুন ওসি মোস্তাফা’র যোগদান নারী-পুরুষ সমতা বিষয়ে শিশুদের সচেতন করতে কক্সবাজারে আরডিআরএস বাংলাদেশের নতুন প্রকল্প মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা। -মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ চিকিৎসা সেবা : রোগি শূণ্য হাসপাতাল # চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা; গ্রেপ্তার ২ কক্সবাজারে প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত উখিয়ায় ককটেল মৌলভীর সাম্রাজ্যে বনবিভাগের থাবা, বনের জমি উদ্ধার বিভাজনের রাজনীতিতে পা দিলে রাস্ট্র পুনর্গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না–সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কক্সবাজারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফোন চুরি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন”

গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যায়

নিউজ রুম / ১৭ বার পড়ছে
আপলোড : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

:: ডা. সোমা চৌধুরী ::
গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যায়।এটাই স্বাভাবিক। গর্ভকালে সন্তানের পুষ্টির জন্য মাকে বেশি খেতে হয়,শরীরের বিপাক ক্রিয়া কমে যায়।ফলে মায়ের ওজন প্রায় ১১ থেকে ১৫ কেজি বেড়ে যায়।প্রায় ছয় মাস পর ওজন কমতে থাকে। কিন্তু যদি এ সময়ের পরও মায়ের ওজন পুর্বের কাছাকাছি না যায় তবে মাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।না হলে হার্ট ডিজিজ,ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি জটিলতা হতে পারে। একজন মা প্রসবের দুই মাস পর থেকে সচেতন হয়ে কিছু অভ্যাস চর্চা করলে বাড়তি ওজন কমতে থাকে।যেমনঃ
পুষ্টি কর খাবারঃফল,শাকসবজি, প্রোটিন ও দুগ্ধ জাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে।
স্বাস্থ্য কর নাস্তাঃসারাদিনে অন্তত পাঁচবার অল্প অল্প বার বার খেতে হবে।নাস্তা হিসেবে ফল,বাদাম,খেজুর, স্যুপ,দই,ছোলা ভালো।
পরিমিত খাবারঃচকোলেট,আইসক্রিম, মিষ্টি বা শর্করা সমৃদ্ধ খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।তাই সংযত থেকে ভালোভাবে চিবিয়ে সময় নিয়ে খাবার খেতে হবে।
বেশি পানিঃঅনেকে একদম না খেয়ে ওজন কমাতে চান।কিন্তু এটা ভুল। প্রচুর পানি ওজন কমাতে সহায়ক।
হালকা ব্যায়ামঃপ্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা,হালকা ব্যায়াম বা জগিং, দৈনন্দিন কাজকর্মে সক্রিয় থাকা ওজন কমাতে সহায়ক।
পর্যাপ্ত ঘুমঃদিনে সাত আট ঘন্টা ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
প্রসবের পর নিয়মিত শিশুকে দুধ পান করানো,পরিমিত পুষ্টি কর খাবার গ্রহণ, হালকা ব্যায়াম,নিজের সচেতনতা এসব অভ্যাস মা যদি জীবন যাত্রার সাথে একীভূত করে নেন তবে বাড়তি ওজন কমানো কষ্ট কর নয়।প্রসবের পর সেবা ও পরামর্শের জন্য সরকারি পর্যায়ে যেখানে যোগাযোগ করতে পারেন:কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, জেলা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ওষুধ খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা না করে সচেতন হোন এবং ফিট থাকুন।
লেখক:: অবস ও গাইনী বিশেষজ্ঞ


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর