শিরোনাম :
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে হবে-সালাহ উদ্দিন জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কক্সবাজারের ১৬ বছর পর বিএনপি’র মহাসমাবেশ কক্সবাজারের টেকনাফে ৬৯ বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম সহ দুজন আটক টেকনাফে টানা জালে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি’র বোল মাছ “মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের বার্তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিতে হবে”-আমীর আনোয়ারী উখিয়ায় পাহাড় কেটে দিন-রাত কৃষিজমি ভরাট চকরিয়ায় বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার জেলা বিএনপির সমাবেশ : ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে পৌর সদর রামু ও ঈদগাঁও বিএনপির প্রস্তুতি উখিয়ায় ৪ ইটভাটায় জরিমানার পর আরও ৩টির চুল্লী গুড়িয়ে দিল প্রশাসন

প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা

নিউজ রুম / ৪৭ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

ডা. সোমা চৌধুরী :
একটি শিশু জন্মের পর পর মায়ের শরীর দুর্বল
থাকে এবং মাকে নবজাতকের যত্নের জন্য
অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়া নিজের
সাংসারিক কাজকর্ম ও অন্যান্য কাজও করতে
হয়। এ অবস্থায় কেউই আরেকটা সন্তান নিতে
চায় না। প্রসবের পর কমপক্ষে দুই থেকে তিন
বছর মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জন্মবিরতি দেয়া প্রয়োজন। প্রসবের
পর থেকে এক বছর পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনার জন্য যে কোনও জন্ম
নিয়ন্ত্রণের জন্য যে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করাই প্রসবপরবর্তী পরিবার
পরিকল্পনা (পোস্ট পারটাম ফ্যামিলি প্ল্যানিং-পিপিএফপি)।
9
এ সময়ে যে পদ্ধতিগুলো নেয়া যায় সেগুলো হলো: প্রোজেস্টোজেন
সমৃদ্ধ খাবার বড়ি (প্রথম ছয় মাস), ইনজেকশন ডিপো (জন্মের ৪২ দিন
পর), মিশ্র খাবার বড়ি (ছয় মাস পর), বেরিয়ার মেথড বা কনডম,
আইইউসিডি (কপার টি), ইমপ্লান্ট, টিউবেকটমী ও এনএসভি
(পুরুষের)। দম্পতিরা বাড়ির পাশে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মী বা
যে কোনও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে (সরকারিভাবে) সকল তথ্য
জেনে নিজেদের পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু আমাদের
মায়েরা অনেক সময় সঠিক পরামর্শ পায় না এবং তারা ঘন ঘন বাচ্চা
নিতে না চাইলেও পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বাড়ির বয়স্ক
মানুষের কাছ থেকে ভুল তথ্য পেয়ে জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি নিতে চান
না। এটা বিপজ্জনক। গর্ভকালীন চেকআপের সময়ই প্রসবের পর কি
পদ্ধতি নিবেন সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বর্তমান সরকার মাতৃমৃত্যু ও
শিশুমৃত্যু রোধে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি ও পিপিএফপি এর অগ্রগতির
জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পিপি এফপি এর সুবিধাগুলো
হলো: প্রসবের পরপর পদ্ধতি নেয়া সহজ ও ঝামেলাহীন, অপরিকল্পিত
গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না, গর্ভপাত এড়ানো যায়, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য
ঠিক থাকে, বুকের দুধ কমে না, মূল্য সাশ্রয়ী, বারবার সেবা কেন্দ্রে যেতে
হয় না, ডেলিভারির সময় যেহেতু পরিবারের অন্য সদস্য ও স্বামী কেন্দ্রে
থাকেন সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হয়। অনেকে মনে করে জন্মবিরতিকরণ
পদ্ধতি নিলে মায়ের দুধ কমে যায়। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। বাচ্চা
যেন পর্যাপ্ত দুধ পায় সেজন্য বাছাই করে পদ্ধতি দেয়া হয়। প্রসবের
পরপরই পরিবার পরিকল্পনা করে যে কোনও একটি পদ্ধতি গ্রহণ করলে
তিনটি জীবন (মা, নবজাতক, গর্ভস্থ শিশু) নিরাপদ থাকে এবং মাতৃমৃত্যু
ও শিশুমৃত্যু কমে। তাই অহেতুক ভুল তথ্যের উপর নির্ভর না করে
আপনার বাড়ির পাশে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবাদানকারীর সাথে
যোগাযোগ রাখুন, নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ রাখতে, জীবনকে সাজাতে
প্রসবের পরপরই পরিবার পরিকল্পনার জন্য সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন
এবং নিরাপদ থাকুন।
লেখক: অবস ও গাইনী বিশেষজ্ঞ


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর