বিডি প্রতিবেদক :
ভারতের দার্জেলিং এ অনুষ্ঠিত দার্জেলিং কবিতা উৎসব ২০২৩ এর ১ম দিনে দার্জেলিং এর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নেপালী ভাষার জাতীয় কবি ভানু ভক্ত আচার্য মুক্তমঞ্চে উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কবিতা,নাটক,গবেষণা ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্যে বহুমাত্রিক লেখক কবি কামরুল হাসান কে ‘ছায়ানট সম্মাননা পুরষ্কার’২৩ লাভ করেছেন।
‘ঘুম থেকে জেগে ওঠো কবিতা’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত দার্জলিং কবিতা উৎসব ২০২৩ এ কবি কামরুল হাসান তার স্মারক বক্তৃতায় বিশ্বশান্তির জন্যে প্রার্থনা সহযোগে ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’শ্লোগান দেন এবং সেই সাথে কঠিনেরে ভালোবেসে নির্মোহ ভাবে মানবিক সৌন্দর্যের জন্যে শিল্প সৃষ্টিতে কবি বৃন্দের প্রতি অহবান জানিয়ে দেশে দেশে মেধাসত্ব ও শ্রমস্বত্ব চুরি বন্ধের জন্যে সমন্বিত প্রয়াসের আহবান জনান।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৭ হাজার ফিট উচ্চতায় মেঘেদের দেশে হিমালয়ের এই রূপ অপরূপ অংশে অনুষ্ঠিত দার্জেলিং কবিতা উৎসব ২০২৩ এর অনুষ্ঠান মালায় ছিলো কবিতার শোভাযাত্রা,উদ্বোধন অনুষ্ঠান,সম্মাননা পুরষ্কার প্রদান,কবিকন্ঠে কবিতা পাঠ,কবিতার নিসর্গ যাপন,মেঘ ও শৃঙ্গের সাথে কবিতার কথোপকথন ও কবি সম্মেলন।
যাত্রাপথে ভারতের বিহার রাজ্যের রেল জংশন মঞ্চে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ঐতিহ্য ও তা সংহত করার কথা বলে এই কবি বক্তব্য রাখেন এবং সেইসাথে দেশ বিদেশের কবি বৃন্দ ও সৃষ্টিমানবদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তির্থভূমি সৌন্দর্যরানী খ্যাত বাংলাদেশের কক্সবাজারের কবিতা নগরীতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে কবি কামরুল হাসান তার ‘সেতু’ কবিতা থেকে পাঠের মধ্যদিয়ে কবিকন্ঠে কবিতা পাঠ এর সূচনা করেন।
এই কবিতা উৎসবের সভাপতি- বরেণ্য কবি কমল দে সিকদার,সম্মাননিয় অতিথি কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী,সম্পাদক কবি সাকিল আহমেদ,কবি তাপস সাহা,কবি উপেক্ষিত চ্যাটার্যি,কবি কাকলি ব্যানার্জি,
কবি স্বরস্বতী পোদ্দার,উদ্দু কবি মো: নুরুল ইসলাম,কবি অমলেন্দুবিকাশ দাস,কবি লুৎফুর চৌধুরী,কবি মানসী সাধ্বিখাঁ,কবি রাশেদা পারভিন,কবি অর্চনা দে বিশ্বাস,কবি রমা চক্রবর্তী,কবি পুষ্পিতা চট্যপাধ্যায়,কবি ড.রমলা সরকার,কবি ডালিম চক্রবর্তী,কবি গৌতম মন্ডল,কবি শুভ্রা দাশ,কবি শুভশ্রি বসু,কবি আবুল বাসার হালদার সহ বিভিন্ন দেশের ও ভিন্ন ভিন্ন ভাষার অর্ধশতাদিক বরেণ্য কবি অংশ গ্রহণ করেন।
ভারতের কুসুমের ফেরা সাহিত্য পত্রিকার উদ্যোগে আয়োজিত দার্জেলিং কবিতা উৎসব-২০২৩ বরেণ্য বংশিবাদক দেবানুজ চ্যাটার্জি এর বাঁশি বাঁজানোর মধ্যদিয়ে শুভ সূচনা করা হয়।