সাকলাইন আলিফ :
রাতের আধারে দুষ্কৃতিকারিরা রেলপথের নাট-বল্টু খুলে নেয়ায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আধা ঘন্টার পর রেল ছেড়েছে। কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের কাহাতিয়াপাড়া এলাকায় নতুন রেলপথের নাট-বল্টু খুলে নেয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথে বানিজ্যিকভাবে ট্রেল চালুর দ্বিতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটল। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা উক্ত ঘটনা নিছক চুরি নাকি কোন নাশকতার চেষ্টা তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী জানান, ‘এ ঘটনার পর রেললাইনের সংস্কারকাজ চলমান থাকায় আধা ঘন্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দ্যেশে কক্সবাজার এক্সপ্রেস রওনা দেয়। আজ শনিবার সকালে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের রামু উপজেলার কাহাতিয়া পাড়ায় রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলের ফেলার খবর পান। পরে বিষয়টি রেল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরাসহ সকলে স্তরে অবহিত করেন। এরপর রেল প্রকৌশলসহ নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে রেললাইনের বিটের খুলে ফেলা নাট-বল্টু পুনঃসংযোজনের মেরামত কাজ শুরু করেন নির্মাণ শ্রমিকরা। তা শেষ করে ট্রেন চলাচল করার উপযোগী করতে বেলা সাড়ে ১২ টা বেজে যায়।
তিনি আরও জানান, ‘রেললাইনের এ ত্রুটিপূর্ণ স্থান দিয়ে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি থাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১২ টায় পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী ছাড়া সম্ভব হয়নি। পরে রেললাইন চলাচল উপযোগী হওয়ার পর দুপুর ১ টায় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেয়।’
তবে এটি নিছক চুরির ঘটনা, নাকি অন্য কিছু তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামু উপজেলা ইউএনও ফাহমিদা মোস্তফা ও ওসি আবু তাহের দেওয়ান সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে রামুর ওসি আবু তাহের বলেন, খবরটি শোনার প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলা অবস্থায় দেখা গেছে। ঘটনাটি নিছক চুরির ঘটনা, নাকি কোন ধরণের নাশকতার চেষ্টা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
আবু তাহের জানান, ঘটনাটি কারা, কি উদ্দ্যেশে সংঘটিত করেছে এবং যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত ১১নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ১লা ডিসেম্বর থেকে বানিজ্যিকভাবে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেল চালুর দ্বিতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটে।