সাকলাইন আলিফ :
মিয়ানমার সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। এই লক্ষ্যে স্থল ও জলসীমায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। এজন্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে উখিয়া হয়ে টেকনাফের স্থল সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির সদস্য। এর পাশাপাশি টেকনাফের দমদমিয়া সীমান্ত সংলগ্ন নাফ নদে স্পীড বোট দিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা জালিয়ার দ্বীপ এলাকায় টহল বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে বিজিবি। এছাড়া কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহলও জোরদার করা হয়েছে।
এবিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল মো.মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, নাফ নদ জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে আর কোন রোহিঙ্গা নাগরিক যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে টেকনাফ নাফ নদী সীমান্ত এলাকা গুলোতে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকদের টহল জোরদার করার পাশাপাশি টহল পাটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং অত্র উপজেলার ৫৪ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নাফ নদে প্রতিনিয়ত স্প্রীড বোট টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে মিয়ানমার মংডু শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট ট্রলারে দিয়ে নাফ নদ জলসীমা অতিক্রম করে টেকনাফ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে যাচ্ছে ওপারে সীমান্তে অবস্থান নেওয়া অনেক রোহিঙ্গা। তবে বিজিবি কঠোর নজরদারী অব্যাহত থাকার কারনে একজন রোহিঙ্গাও সীমান্ত প্রবেশ করতে পারেনি।
কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে লোকজন অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু আমরা নতুন করে আর কাউকে ঢুকতে দিবো না। ওপারে চলমান সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৭ জনকে প্রতিহত করা হয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় টেকনাফ সীমান্ত এলাকা অনেকটা শান্ত আছে।
এবিষয়ে কোস্টগার্ডের টেকনাফ ষ্টেশন কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ বলেন, টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনে বর্তমানে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও দেশের মানুষকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও অনুপ্রবেশ রোধে কোস্টগার্ড বদ্ধ পরিকর।