চৌধুরী :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই লাখ পিস ইয়াবা একটি বিদেশি পিস্তল সহ চারজন ইয়াবা ও অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৫।
গতকাল সোমবার রাতে র্যাব এই অভিযান চালিয়েছে বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আজ মংগলবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে লে কর্নেল সাজ্জাদ জানান র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল র্যাবের গোয়েন্দা শাখার তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, মাদক পাচারের হাব হিসেবে ব্যবহৃত টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক কারবারী ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু এর মাদক সিন্ডিকেট পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার হতে বড় একটি মাদকের চালান নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে র্যাব-১৫ এর একটি দল অবস্থান নেয়। এ সময় র্যাবের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে পলায়নের চেষ্টাকালে কুখ্যাত মাদক কারবারি ও পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক চোরাকারবারীর অন্যতম হোতা ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী তার নাম-ঠিকানা প্রকাশসহ নিজ বসত ঘরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা আছে বলে স্বীকার করে। পরে তার বসত ঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থা থেকে দুই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে র্যাবের অপর একটি টিম গতকাল রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রৈক্যংখালী এলাকার সন্ত্রাসী, ইয়াবা কারবারি আবুল কাশেম’সহ তিনজনকে গ্রেফতার এবং তাদের আস্তানা তল্লাশী করে ১টি বিদেশী পিস্তল ও ০২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কাশেম ঐ এলাকার মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে। এ ছাড়া অপর গ্রেফতার দুই জন নুরুজ্জামান ও সাকির আহমেদ খুলনা জেলার দাকোপ এলাকার বাসিন্দা।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত মাদক বিরোধী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দুই কোটি ছিয়ানব্বই লক্ষ পঁচাত্তর হাজার একচল্লিশ পিস ইয়াবা এবং ৫০টি বিদেশী অস্ত্র, ৪৯৪টি দেশীয় অস্ত্র ও ১৬২৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।