শিরোনাম :
একই দিনে জাতাীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের পরিপন্থী–ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা জুলাই সনদ বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র-ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ রামু জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল সম্পন্ন, ১৯ জন হিফজ সমাপনকারী সম্মাননা পাগড়ী দেওয়া হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা কার্যক্রম আবারও চালু করার উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট জণ আকাংখার পরিপন্থী-ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ জেলা জামায়াতের বিশেষ রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত সংস্কার ছাড়া কোন নির্বাচন গ্রহণ যোগ্য হবে না-ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ ১২ নভেম্বর কে ‌ উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি নিয়ে এক আলোচনা সভা কক্সবাজারে দায়িত্বশীল পর্যটন উন্নয়নে জাতীয় সেমিনার রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল

কক্সবাজারে দায়িত্বশীল পর্যটন উন্নয়নে জাতীয় সেমিনার

নিউজ রুম / ১৩ বার পড়ছে
আপলোড : রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

কক্সবাজার, বাংলাদেশ | ১২ নভেম্বর ২০২৫:

– “দায়িত্বশীল পর্যটন: চর্চা, শাসন ও অংশীদারিত্ব” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার আজ ওশান প্যারাডাইস হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উপকূলীয় গন্তব্য কক্সবাজারে টেকসই পর্যটনের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) *“ইমপ্রুভিং স্কিলস অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিজ ফর উইমেন অ্যান্ড ইয়ুথ ইন কক্সস বাজার (ISEC)”* প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এবং *এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড* কর্তৃক বাস্তবায়িত এই সেমিনারটি *গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা*-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নীতি-নির্ধারক, বেসরকারি খাতের নেতা, পর্যটন পেশাজীবী এবং স্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জলবায়ু সহনশীল পর্যটন বিকাশের পথ নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত সচিব নুজহাত ইয়াসমিন* উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “পর্যটনের বিকাশ প্রকৃতির ক্ষতির বিনিময়ে হতে পারে না। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন গন্তব্য তৈরি করা যা হবে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশ-সমন্বিত।”

*যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মঈজ্জেম হোসেন* বলেন, কক্সবাজারে নারী ও যুবদের পর্যটন সংশ্লিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোকে প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণী নিয়োগ এবং সম্মানজনক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সেমিনারে দুটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা শিল্প বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অর্থবহ সংলাপের সুযোগ তৈরি করে।

প্রথম অধিবেশনের শিরোনাম ছিল *“Empowering Women and Youth through Decent Work and Inclusive Growth in the Tourism Sector”, যেখানে **শেয়ারট্রিপের সিইও সাদিয়া হক, **কক্সবাজার উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাহানারা ইসলাম, এবং **দ্য ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ* বক্তব্য রাখেন। তাঁরা পর্যটনকে একটি সম্মানজনক ও লিঙ্গসমতা-বান্ধব পেশা হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের সফলতা তুলে ধরার আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় অধিবেশনের বিষয় ছিল *“Building Climate-Resilient Destinations: Policy, Innovation, and the Future of Responsible Tourism”, যেখানে **ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শোয়েবুর রহমান* এবং *রাখাইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মং আয়ে খেন* অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা বলেন, স্থানীয় ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জ্ঞান ও অভিযোজনমূলক অনুশীলনগুলো টেকসই পর্যটন শাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

*আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনন* বলেন, আইএলও কক্সবাজারে এমন একটি পর্যটন খাত গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং স্থানীয় জনগণকে ক্ষমতায়ন করবে।
*এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ খান* বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা ছাড়া টেকসই পর্যটন ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বশীল উদ্যোক্তা উন্নয়ন সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে *“Safe Entry” নামের হোটেল সেফটি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটি কক্সবাজার জেলা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়, যা পর্যটন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এই হস্তান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করেন **আইএলও’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম. নবীদ আকবর*।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানে *“Destination Development Plan for Cox’s Bazar”* বইটির প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়। উন্মোচন করেন *বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের সিইও নুজহাত ইয়াসমিন* ও *আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনন*।

দিনব্যাপী সেমিনারে আরও ছিল নারী ও যুব উদ্যোক্তাদের তৈরি পরিবেশবান্ধব আতিথ্যসেবা, স্থানীয় হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং কক্সবাজারের গন্তব্য-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানটি একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে স্থানীয় ঐতিহ্য ও প্রতিভা উদযাপিত হয়।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর