বিডি ডেস্ক :
পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হলেন প্রশাসনের বঞ্চিত ১১৫ কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ কর্মকর্তাদের কারও কারও উপসচিব পদে পদোন্নতি ২০১০ সাল অর্থাৎ ১৪ বছর আগে থেকে থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।
বলা হয়েছে, পদোন্নতির আদেশে উল্লিখিত কর্মস্থল হতে কোন কর্মকর্তার দপ্তর/কর্মস্থল ইতোমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম/ঠিকানা উল্লেখ করে যোগদান পত্র দাখিল করবেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ভূতাপেক্ষিকভাবে বিধি মোতাবেক আর্থিক সুবিধা পাবেন। পরবর্তী সময়ে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো রকম বিরূপ/ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন/বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
উপসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে বা sa2@mopa.gov.bd ই-মেইলে যোগদানপত্র দাখিল করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের (বেঞ্চমার্ক) অন্তত ৮৩ পেতে হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের গত দেড় দশকের শাসনামলে প্রশাসনে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের ব্যাচভিত্তিক তালিকা করা হয়। গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত চার দিনে বিএনপি–জামায়াত সমর্থক অন্তত ২৫০ জন কর্মকর্তার নামের তালিকা জমা পড়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার সম্মতিসাপেক্ষে বঞ্চিতদের তথ্য–উপাত্ত চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পদোন্নতির জন্য সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)।
গত ৬ আগস্ট সচিবালয়ে বৈঠক করেন পদোন্নতিবঞ্চিত অন্তত ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সভায় জ্যেষ্ঠতাসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির দাবি জানান তাঁরা। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দীর্ঘদিন গুরুত্বহীন দপ্তরে থাকা ২৮ জন কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। এরপর প্রশাসনে কর্মরত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ব্যাচভিত্তিক তালিকা তৈরি করে সচিবের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, তালিকায় অন্তত ২৪৪ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে বিসিএস ১১ তম ব্যাচের ৪ জন, ১৩ তম ব্যাচের ৮ জন, ১৫ তম ব্যাচের ২১ জন, ১৭ তম ব্যাচের ৮ জন, ১৮ তম ব্যাচের ২২ জন, ২০ তম ব্যাচের ২১ জন, ২১ তম ব্যাচের ১০ জন, ২২ তম ব্যাচের ৮১ জন, ২৪ তম ব্যাচের ১২ জন, ২৫ তম ব্যাচের ১২ জন, ২৭ তম ব্যাচের ১৩ জন, ২৮ তম ব্যাচের ১০ জন এবং ২৯ তম ব্যাচের ২২ জন রয়েছেন।
এই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সিনিয়র সহকারী সচিব ও যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও দুদকের মামলা নেই প্রথম দফায় তাঁদের ১১৭ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, শিগগিরই যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে।
সুত্র : চ্যানেল আই অনলাইন