
বিডি প্রতিবেদক :
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সহিংসতার জেরে রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত গণহত্যার বিচারের বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং তাতে অনেক বিষয় জড়িয়ে আছে; আইসিসি নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি মামলার অগ্রগতিও রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে আইসিসি’র প্রধান কৌঁসুলীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বুধবার ঢাকায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্টিতব্য বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার কার্যক্রম এবং অগ্রগতি সম্পর্কে তুলে ধরবেন বলে জানান তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, “ রোহিঙ্গারা আইসিসি’র প্রধান কৌঁসুলীকে জানিয়েছেন, গণহত্যার মামলায় অপরাধী যারা রয়েছে; রোহিঙ্গারা তাদের বিচার দেখতে চায়। এটি নিশ্চিত হলে তাদের দেশে ফেরত যাওয়া সহজ হবে। “
এসময় আশ্রয় দেওয়ার জন্য রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং এ বিষয়টি তাকে ( করিম এ এ খান ) আবেগ-আপ্লুত করেছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ২০১৭ সালে সংঘটিত গণহত্যাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এরপর ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইসিসি’র ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বিকাল ৫ টায় কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করেন। সন্ধ্যা ৬ টায় বৈঠক শেষে তিনি রাত্রিযাপনের জন্য হোটেলের উদ্দ্যেশে রওনা দেন। এসময় গণমাধ্যম কর্মিরা কথা বলতে চাইলে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান তিনি। ওইদিন দুপুরে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের উদ্দ্যেশে কক্সবাজারে পৌঁছান।
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা জানান, রাখাইন মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে কিনা, সেটির তদন্ত করছে আইসিসি। তদন্তের কাজে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি।
প্রসঙ্গত, সবশেষ গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম।