কক্সবাজারে পর্যটকদের বিপুল সমাগম

নিউজ রুম / ১৭৭ বার পড়ছে
আপলোড : সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

সাকলাইন আলিফ :

বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকদের পদবারের মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সৈকত। হোটেল হোটেল কোথাও খালি নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

পর্যটক হয়রানি রোধে সচেতন রয়েছে প্রশাসন।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার, সেই সাথে বছরের শেষ সময়, বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। তাই পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাতে সবাই ছুটে আসছেন কক্সবাজারে। শুক্রবার হওয়ায় বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটে কক্সবাজারে।

সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, দরিয়া নগর ,ইনানী পাটুয়ারটেক, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ সহ পর্যটন স্পট গুলোতে পর্যটকদের ভিড় পড়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের সবগুলো পয়েন্টে পর্যটকদের আগমন ঘটতে থাকে। সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতের লাবনী কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে ভিড় করে পর্যটকরা।

ফেনী থেকে আসা পর্যটক রবিউল হোসেন বলেন, ১০ বন্ধু পরিবার নিয়ে তারা এসেছেন। সব বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ। গ্রুপ নিয়ে কক্সবাজারে এসে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা বলে জানালেন তিনি।

হবিগঞ্জ থেকে আসা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, অনেকদিন পর কক্সবাজার আসলাম। সাথে নববিবাহিত স্ত্রী। শীতের এই সময়ে খুব ভালো লাগছে।

পর্যটন ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের বন্ধ থেকে শুরু করে এবছরের শেষ সময় পর্যন্ত আমরা ভালো অর্ডার পাচ্ছি। তবে বেশিরভাগ পর্যটকায় সেন্টমার্টিন যেতে চায়। কিন্তু সেখানে সীমিত হওয়ার কারণে আমরা সবাইকে পাঠাতে পারছি না।

খুলনা থেকে আসা পর্যটক রনি আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিন ঘুরে আসলাম খুব ভালো লাগলো।

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আলী বলেন, সবগুলো খাবার হোটেলে বলে দেওয়া হয়েছে। কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত মূল্য আদায় না করে এবং বাসি খাবার যেন বিক্রি না করে।

হোটেল দা কক্স‌ টুডের এজিএম আবু তালেব শাহ বলেন, আমাদের হোটেল সহ তারকা মানের হোটেল গুলোতে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বুকিং আছে।

কক্সবাজার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কৈয়ুম বলেন, অনেকদিন পর ব্যবসা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি যেন এরকমই থাকে। তাহলে আমাদের ক্ষতি আমরা পুষিয়ে নিতে পারব।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ রহমতুল্লাহ বলেন,আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের একাধিক টিম নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।

এই মৌসুমে যাতে কোন প্রকার যানজট না হয়, সেজন্য অনলাইন বাস টার্মিনাল এর মাধ্যমে যানজট নিরসন করা হচ্ছে।

টুরিস্ট পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম কালাম বলেন, এখানে পর্যটকের আগমন হওয়ার কারণে অন্যজন থেকে বেশকিছু অফিসার্স ফোর্স নিয়ে এসে কক্সবাজারে ডিউটি করানো হচ্ছে।

সৈকত ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পর্যটকরা যাতে কোনভাবে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দুটি হোটেল কে জরিমানা করা হয়েছে।

আমরা চাই এখান থেকে সবাই শিক্ষা নেবে। পর্যটকদের হয়রানি করলে কোনভাবে সহ্য করা হবে না বলেও কোষের উচ্চারণ করেন জেলা প্রশাসক।


আরো বিভিন্ন বিভাগের খবর